কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কক্সবাজার জেলার চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে বাড়ছে ভয়াবহ ভাঙন। ইতোমধ্যে উপজেলার নদী তীর এলাকার বিভিন্ন অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে নদী তীরবর্তী হাজারো মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে । নদী ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে মসজিদ, মন্দির ও বিদ্যুতের খুঁটিসহ বহু স্থাপনা। খবর ইত্তেফাক।
জানা গেছে, উপজেলার সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়নের সুরাজপুর, কাকারার প্রপার কাকারা, লোটনী ও মাঝেরফাঁড়ি, ফাঁসিয়াখালীর হাজিয়ান, ঘুনিয়া ও দিগর পানখালী, লক্ষ্যারচর ইউনিয়নের মণ্ডলপাড়া, জালিয়াপাড়া ও শিকলঘাট, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের দিককুল ও খোঁজাখালী, সাহারবিলের বাটাখালী, বিএমচরের বেতুয়া বাজার, পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের আনিসপাড়া, কোনাখালীর মরংঘোনা, পুরইত্যাখালী ও কইন্যারকুম, চিরিঙ্গা ইউনিয়নের সওদাগর ঘোনা ও মাছঘাট, চকরিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরপাড়া, আমানপাড়া, আবদুল বারী পাড়া, চরপাড়া, নামার চিরিঙ্গা, কোচপাড়া এলাকা মাতামুহুরী নদী তীরবর্তী হওয়ায় এসব এলাকার বাসিন্দারা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এছাড়া মাতামুহুরী সেতুও ঝুঁকিতে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার ফাঁসিয়াখালীর দিগর পানখালী এলাকায় নদী ভাঙনে তিনটি বসতঘর বিলীন হয়েছে। ক্ষেত্রপাল মন্দিরের মাটি সরে যাওয়ায় মন্দিরটিও ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীতে ওই এলাকার জমি বিলীন হওয়ার পর এখন বসতভিটাও তলিয়ে যাচ্ছে।
বিএমচর ইউপির চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ইউনিয়নের বেতুয়া বাজার এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে। বাজারের দীর্ঘদিনের পুরানো মসজিদটি যে কোনো মুহূর্তে বিলীন হয়ে যাবে। কোনাখালী ইউপি চেয়ারম্যান দিদারুল হক সিকদার বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ লাগোয়া মরংঘোনা এলাকার তিনশত মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। দুই বর্ষায় অন্তত ২০ বসতঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। জোয়ারের পানিতে ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ প্লাবিত হচ্ছে। এতে পরিষদের ভবন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.সবিবুর রহমান বলেন, বেড়িবাঁধ মেরামতে ইতোমধ্যে ১৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। চলতি মাসেই এসব ভাঙন মেরামত কাজ শুরু করা হবে।