কৃষি প্রতিক্ষন খুলনা : অতি বৃষ্টিতে এবার জেলার ৯০ শতাংশ তিলের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ৪০০ কোটি টাকার তিল ক্ষেতেই পচেছে। উপজেলার সাপ্তাহিক হাটগুলোতে তিল উঠছে না। মৌসুমের শুরুতে এবং শেষে অতি বৃষ্টিকেই দায়ী করেছেন কৃষকরা।বৃষ্টির কারণে মাটিতে যেমন তিলের চারা গজায়নি, তেমনি শেষ মুহূর্তে ক্ষেতে নষ্ট হয়েছে এসব উপজেলার একমাত্র অর্থকরী ফসল তিল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেলায় অন্যান্য বছর প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে তিলের আবাদ হয়। এবার ১ হাজার ৯২০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।
কৃষি কর্মকর্তা জানান, এবার ডুমুরিয়া উপজেলার চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উঁচু স্থান এবং পানি নিষ্কাশনের সুবিধা থাকায় পাইকগাছা উপজেলায় তিলের কাঙ্খিত উৎপাদন হয়।
বটিয়াঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুবায়েত আরা জানান, এখানকার চাষিরা বিলম্বে আমনের আবাদ করায় ধান কাটতে দেরি হয়ে যায়। একই জমিতে তিলের আবাদ হয়। কৃষকদের তিল চাষ সম্পর্কে অবহিত করতে ২১০ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
বছরে সাড়ে ৮ হাজার একর জমিতে তিল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। গত মৌসুমে ৫ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ৩৬০ মেট্রিক টন উৎপাদন হয়। এ মৌসুমে ৭০০ হেক্টর জমিতে ২৯৪ মেট্রিক টন তিল উৎপাদন হয়।
বয়ারভাঙ্গা গ্রামের তিল চাষী কাকন মল্লিক জানান, এ বছর ৪ বিঘা জমিতে তিলের আবাদ করা হয়। বিঘা প্রতি তার ব্যয় হয়েছে দেড় হাজার টাকা। বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিল ক্ষেত পচে গেছে। ফলে এ বছর লোকসানের ঘানি টানতে হবে।
ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, অতি বৃষ্টিতে পানি নিষ্কাশনের সুবিধা না থাকায় দুই হাজার তিল চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে মার্চে কৃষকরা ওই জমিতে ঢেঁড়শ, করলা ও মিষ্টিকুমড়ার আবাদ করেছে। এ উপজেলায় ২০১৪ সালে ১ হাজার ৬১০ হেক্টর, ২০১৫ সালে ৬৬৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হলেও এবার ৬৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
কিৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম