কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে নিথর হাতি ‘বঙ্গ বাহাদুর’। ভারত থেকে বানের জলে ভেসে আসা হাতিটি জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে আজ মঙ্গলবার মারা গেছে । সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে হাতিটি নিথর হয়ে যায়। গতকাল সোমবার থেকেই সে অসুস্থ ছিল। বঙ্গ বাহাদুরের মৃত্যুতে এলাকাবাসী অনেকে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের পরিদর্শক অসিম মল্লিক বঙ্গ বাহাদুর মারা যাওয়ার তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। কক্সবাজারের ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কের ভেটেরিনারি সার্জন মোস্তফিজুর রহমান জানান, গতকাল তাপমাত্রা বেশি থাকায় বঙ্গ বাহাদুর অসুস্থ হয়ে কাদাপানিতে পড়ে যায়। সন্ধ্যা পর্যন্ত হাতিটির শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে ১২টি স্যালাইন দেওয়া হয়। হাতিটিকে সুস্থ করে তুলতে সব ধরনের চিকিৎসা ও সেবা দেওয়া হয়েছিল।
কামরাবাদ ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য মুকুল মিয়া জানান, এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সেবা দিয়েও বঙ্গ বাহাদুরকে বাঁচাতে পারলাম না। আমাদের কাঁদিয়ে সে অজানার পথে পাড়ি দিয়েছে।
বঙ্গ বাহাদুরকে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তাকে উদ্ধারের জন্য চট্টগ্রামের কাপ্তাই থেকে দুটি বড় হাতি আনার কথা ছিল। আজ সকালেই হাতিগুলোর সরিষাবাড়ী পৌঁছানোর কথা। তার আগেই চলে গেল বঙ্গ বাহাদুর
গতকাল পায়ে শিকল পরাতে গেলে বঙ্গ বাহাদুরের লাথিতে গাজীপুরের সাফারি পার্কের হাতির রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত এক কর্মী গুরুতর আহত হন। তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত বৃহস্পতিবার বঙ্গ বাহাদুরকে প্রথমবার চেতনানাশক ওষুধ দেওয়া হয়। এরপর চার পায়ে শিকল ও রশি দিয়ে কয়ড়া গ্রামের একটি আমগাছে বেঁধে রাখা হয়। গত শনিবার শিকল ভেঙে বঙ্গ বাহাদুর পালানোর চেষ্টা করে। রোববার দ্বিতীয় দফায় চেতনানাশক দিয়ে চার পায়ে শিকল পরানো হয়। কয়ড়া গ্রামের খোলা মাঠে কাদা পানিতে বেঁধে রাখা হয়। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বঙ্গ বাহাদুর অসুস্থ হয়ে শিকল পরা অবস্থায় কাদা পানিতে হঠাৎ পড়ে যায়। হাতিটি গত ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বানের পানিতে ভেসে এ বাংলাদেশে আসে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম