কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নে কারখানা এবং তেতুলিয়া নদীর ভাঙনে ১০টি বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয়রা ব্যক্তিগত উদ্যোগে ভাঙন রক্ষার্থে কিছু ব্লক ফেলে রক্ষা করার চেষ্টা করা হলেও নদীর স্রোতে তা ভেসে গেছে। খবর ইত্তেফাক। নদীর ছয়টি মোহনায় পানির প্রচণ্ড স্রোত থাকায় এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি হানিফ তালুকদার জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড ৪ হাজার ব্লক তৈরি করলেও অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদার তা না ফেলে স্তূপ করে রাখায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অত্র এলাকার সেনের বাজার ও গোবিন্দপুর এলাকার প্রায় ৩ শত ব্যবসায়ী ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন। ব্যবসায়ী ও ফসলি জমির মালিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তিনি জানান, ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাইক্লোন শেল্টার কাম ডিজিএল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনটি গ্রাস করতে আর মাত্র আধা-কিলোমিটার দূরে রয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ ভবনটি রক্ষায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে আটটি স্থানে চিঠি দিয়েছে। যে হারে নদী ভাঙতে শুরু করেছে তাতে স্কুলটি রক্ষা করা দুরূহ হয়ে পড়বে।
দুর্গাপাশা ইউনিয়নটি গত ১০ বছর যাবত্ যে হারে কারখানা তেতুলিয়ার ভাঙনে গ্রাস করছে তাতে আর ছয় মাসের মধ্যে স্কুলটির কোনো চিহ্ন থাকবে না। ঘর-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ফসলি জমি এবং ভিটা বাড়িহারা মানুষগুলো এখন খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে।
সর্বস্ব হারিয়ে তারা এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছে। নিঃস্ব হওয়া পরিবারের সদস্য আঃ করিম হাং, জাহাঙ্গির হাং, আঃ রাজ্জাক হাং, নুরু গাজি, নজরুল খান, সেলিম খান, ফিরোজ খান, নুর ইসলাম খান, সুকুমার মন্ডল, নুর ইসলাম মৃধা, দিন ইসলাম খান, কুদ্দুস মোল্লা, কাদের হাং, আনসার মোল্লা, বারেক সরদার, হাসেম সরদার, রহমালি মাল, হবিরালি শিকদার, স্বপন মাতুব্বর, উজ্জল মাতুব্বর, সুবাস হাং, কৃষ্ণকান্ত হাং, জাহাঙ্গির মৃধা, রশিদ শিকদার, কাওসার খান, রাসেল খান, বিমল ধুপি, সোবাহান মৃধা, আমির মোল্লা, স্বপন মাতুব্বর, উজ্জল মাতুব্বর, সোনা মল্লিক ও মনির হাওলাদারসহ অনেকেই জানান, অত্র ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত এলাকার সর্বস্বান্ত মানুষদের দাবি, খাদ্য বস্ত্র চাই না, মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই। ভিটে-মাটি হারিয়ে আজ আমরা নিঃস্ব, দেখার মত কেউ নেই। নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেতে সরকারের দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।