কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পাট জাগ দিতে ২৮০টি জলাশয় সংস্কার করার উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ৩৯ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরে হাজামজা, পতিত পুকুর পুনঃখননের মাধ্যমে সংগঠিত জনগোষ্ঠীর পাট পঁচানোর পরবর্তী মাছ চাষের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন শীর্ষক প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়। এ প্রকল্পে সরকারের তহবিল থেকে ৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে। বাস্তবায়নকারী সংস্থা পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) ব্যয় করবে ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
আজ মঙ্গলবার অনুমোদিত প্রকল্পের সারসংক্ষেপ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে উপস্থাপন করা হতে পারে। জানা যায়, প্রথমিক অবস্থায় ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ২৮ উপজেলা প্রকল্পের আওতায় আসবে। প্রতিটি উপজেলায় পাট জাগ দিতে ১০টি পুকুর সংস্কার করা হবে। সব মিলে কাজ হবে ২৮০টি পুকুরে। পাট জাগ দেয়া ছাড়াও মাছ চাষসহ বিভিন্ন ভাবে এ সব পুকুরের সুফল পাবেন ৫ হাজার ৬০০ দরিদ্র মানুষ।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের প্রস্তাবিত প্রকল্পটির সার সংক্ষেপে বলা হয়েছে, পাটের আঁঁশের গুনগত মান প্রধানত পাট পঁচানোর উপর নির্ভরশীল। পানির প্রাপ্যতা ও অন্যান্য সুযোগ বিবেচনা করে বিভিন্ন এলাকায় পাট পঁচানোর ব্যবস্থা করা হয়। আঁঁশ সংগ্রহ প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে নজর না দিলে সংগ্রহ করা আঁঁশের মান খারাপ হয়। অনেক এলাকায় ফলন ভাল হলেও পঁচানোর সুব্যবস্থা না থাকায় পাটের গুণগত মান ভাল হচ্ছে না।এতে আরও বলা হয়, উম্মুক্ত জলাশয়ে পাট পঁচানোর ফলে পানি দূষিত হচ্ছে। এ সমস্যার সমাধান করতে পাট উত্পাদনশীল এলাকায় পুকুর পুনঃখনন করা হবে। এ সব জলাশয়ে উন্নত প্রযুক্তিতে পাট পঁচানো হবে।