কৃষি প্রতিক্ষন শরীয়তপুর : বন্যার পানি নেমে গেলেও শরীয়তপুরে কমেনি বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ। কাজ না থাকায় আয়-রোজগার বন্ধ । তার ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে এনজিওর ঋণের কিস্তি পরিশোধের চাপও। তাই কিস্তি দিতে না পেরে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে। ৪টি এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়ে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাত্রী পারাপারের কাজ শুর করেন নড়িয়া উপজেলার সাহেবের চর গ্রামের ইউসুফ আলী খা। বন্যার কারণে কর্মহীন এ গ্রামের অধিকাংশ পরিবার। তাই রোজগারও প্রায় বন্ধ তার।
গবাদি পশু বিক্রি করেও পরিশোধ হয়নি ঋণের টাকা। এনজিও কর্মীদের হাত থেকে বাঁচতে গত সপ্তাহে বিক্রি করে দিয়েছেন নৌকার ইঞ্জিনটিও। টাকা আদায় করতে গিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগও রয়েছে এনজিও কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সরকারী হিসাবে শরীয়তপুরে, আশা, ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংক, সিএসএস, এসডিএস সহ মোট ১৪টি এনজিও ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। মাঠ পর্যায়ে কিস্তির টাকা আদায়ে গ্রাহকদের অমানবিক চাপ দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করছেন তারা। বন্যার ধকল কাটিয়ে উঠতে দুর্গত এলাকায় ঋণের টাকার কিস্তি সাময়িক জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।
কৃপ্র/লাবু/ কে আহমেদ/এম ইসলাম