কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পিছিয়ে থাকা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ৯ পেশার ৫৩ লাখ মানুষের জন্য সরকার আয়বর্ধক বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। মঙ্গলবার একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘পিছিয়ে থাকা ৯ পেশার জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে বিভিন্ন ধরনের আয়বর্ধক প্রকল্প নেয়া হবে। এই প্রকল্পের আওতায় তাদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও দেয়া হবে। খবর বাসস।
আয়ের দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া এই নয় জনগোষ্ঠী হচ্ছে বেদে, কোমার, জেলে, কুমার, স্বর্ণকার, বাঁশ ও বেত প্রস্তুতকারক, কাঠমিস্ত্রী, মিষ্টি প্রস্তুতকারক ও নাপিত।দেশে এসব জনগোষ্ঠীর ৫৩ লাখ মানুষ রয়েছে বলে পরিকল্পনা মন্ত্রী জানান।
তিনি বলেন, ‘আগামী ২/১ মাসের মধ্যে এসব পেশার জনগোষ্ঠীর জন্য প্রকল্প নেয়া হবে। পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে না পারলে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এ জন্য প্রাথমিকভাবে ৯ পেশার গোষ্ঠীর জন্য আলাদা আলাদা প্রকল্প নেয়া হবে।’
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক পরিসংখ্যানের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বেদে পরিবার রয়েছে ১৫ হাজার ২৬২টি, এসব পরিবারের জনসংখ্যা ৬৯ হাজার ২১ জন। কুমার পরিবার রয়েছে ৩১ হাজার ৭৪২টি, জনসংখ্যা ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৯৮ জন। জেলে পরিবার রয়েছে ৭ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬২টি, জনসংখ্যা ৩১ লাখ ৯ হাজার ৯৩৩ জন। কামার পরিবার রয়েছে ৩২ হাজার ৪৫৩টি, জনসংখ্যা ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৯৩ জন। স্বর্ণকার পরিবার রয়েছে ৪৪ হাজার ৮৮৭টি, জনসংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৯৬২ জন। বাঁশ ও বেত প্রস্তুতকারক রয়েছে ৮১ হাজার ৫৯৯টি, জনসংখ্যা ৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯২ জন। কাঠমিস্ত্রি পরিবার রয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার ৩৯৭টি, জনসংখ্যা ৭ লাখ ২৫ হাজার ৬০১ জন। আর ৫৩ হাজার ৬৯৭টি মিষ্টি প্রস্তুতকারক পরিবারের জনসংখ্যা ২ লাখ ১০ হাজার ৭০০ জন, ৮১ হাজার ২২১টি নাপিত পরিবারের জনসংখ্যা ৩ লাখ ৩০ হাজার ৪৮৪ জন।
কৃপ্র/ এম ইসলাম