কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বরিশালের কীর্তনখোলা নদীতে চলছে অবৈধভাবে বালু উত্তলন। জেলা প্রশাসন কীর্তনখোলা নদীতে বালু কাটা নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও তা মানছেনা কতিপয় অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা। কীর্তনখোলা নদীর পোটকারচর ও কদমতলা পয়েন্টে প্রকাশ্যে ড্রেজার বসিয়ে হরদমে চলছে বালু উত্তোলন। খবর জনকন্ঠ অনলাইন।
অভিযোগ রয়েছে বালু উত্তোলনের জন্য ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতা ও প্রশাসনকে মোটা অংকের টাকা দেয়ার কারনেই ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে অবৈধভাবে কীর্তনখোলা নদীর বালুগ্রাসীরা। কীর্তনখোলা নদীর পোটকারচর ও চরবাড়িয়া ইউনিয়ের তীরবর্তী কদমতলা নামকস্থানে দুইটি ড্রেজার বসিয়ে বালু কাটা হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ড্রেজারের শ্রমিকেরা জানান, দুইটি ড্রেজারে নদী থেকে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫লাখ ফুট বালি কাটা হচ্ছে। ওই বালু নদী দিয়ে জাহাজে করে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের কদমতলা হয়ে বিভিন্ন এলাকায় চলে যায়।
ড্রেজারের মালিক মোঃ হানিফ জানান, নদী থেকে বালি কাটার বিষয়টি চরবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে কাউনিয়া থানা, জেলা প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা সবাই জানেন। দম্ভ করে তিনি বলেন, প্রতিফুট বালুতে চরবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহাতাব হোসেন সুরুজকে ২০ পয়সা করে দেয়া হয়। তাই দিনে একলাখ ফুট বালু কাটলে তাকে ২০ হাজার টাকা নগদ দিতে হয়। এরপর প্রতিলাখে এরকম হিসেব করে তিনি টাকা নিয়ে থাকেন। এছাড়াও কাউনিয়া থানায় মাসে একলাখ টাকা, জেলা প্রশাসনকে মাসে ২ লাখ টাকা ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মোটা অংকের টাকা দিয়েই এ ব্যাবসা পরিচালনা করা হয়।
অবৈধভাবে বালু কাটার সত্যতা স্বীকার করে ও থানায় মাসে ১ লাখ টাকা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে কাউনিয়া থানার ওসি সেলিম রেজা বলেন, হানিফকে এর পূর্বে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে আটক করে মোটা অংকের টাকা জরিমানা করা হয়েছিলো। জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান বলেন, কীর্তনখোলা নদীতে বালু কাটার অনুমতি কারও নেই। যদি কেউ কেটে থাকে তাহলে তা অবৈধ। তিনি আরও বলেন, অবৈধভাবে বালু কেটে জেলা প্রশাসনকে অর্থ দেয়ার নাম যারা করছেন তাদের এ অবৈধ ব্যবসা অচিরেই বন্ধ করে দিয়ে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এ জন্য খুবশীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
কৃপ্র/ কামাল / এম ইসলাম