কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কুমিরের সঙ্গে লড়াই করে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়ে ওঠা বাঘ ভারতের রনথম্বোরের রানী ‘মছলি’ মারা গেছে। মুখের অনেকটা মাছের মতো দাগ থাকায় এই বাঘের নামকরণ করা হয়েছিল মছলি। খবর বিবিসি অন লাইন।
রাজস্থানের রনথম্বোর জাতীয় উদ্যানের বাসিন্দা ‘মছলি’ একমাত্র বাঘ যার সবচেয়ে বেশি ছবি তোলা হয়েছে। তাকে নিয়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য তথ্যচিত্র, স্বল্প দৈর্ঘ্যের ছবি, ফটো ফিচার, অনেক বই লেখা হয়েছে। এমনকি পোস্টকার্ডের ছবিতেও সে স্থান পেয়েছে।
চার মিটার বা ১৪ ফিট লম্বা একটি কুমিরের সঙ্গে তার লড়াইয়ের ভিডিওটি তাকে সারা বিশ্বেই পরিচিত এনে দিয়েছে। প্রতিবছর দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক মছলিকে দেখতে এই উদ্যানে আসতেন।
মছলির কারণেই রনথম্বোর জাতীয় উদ্যান প্রতিবছর কয়েক মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। মছলির বয়স হয়েছিল ১৯ বছর। সাধারণত একেকটি বাঘ ১৩/১৪ বছর বেঁচে থাকে। তবে দাত পড়ে গেলেও বেশ বহাল তবিয়তেই ছিল মছলি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে সে খাবার দাবার বন্ধ করে দিয়েছিল।
রনথম্বোর জাতীয় উদ্যান কর্মকর্তারা বলছেন, কয়েকদিন ধরেই মছলি খাবারদাবার খাচ্ছিল না। উদ্যানের দেয়ালের একটি অংশে তাকে শুয়ে থাকতে দেয়া যায়।
উদ্যানের বাঘ রক্ষা প্রকল্পের পরিচালক ইয়োগেশ কুমার সাহু বলেন, আমরা তার চিকিৎসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে মারাই গেল। বয়সের কারণে প্রাকৃতিকভাবেই সে মারা গেছে।
কৃপ্র/ তাহেরা ইসলাম / এম ইসলাম