কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ অনুমতি পেলে জাতীয় জাদুঘরের জন্য ‘বঙ্গ বাহাদুরের’ কঙ্কাল সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন জাদুঘরের সহকারী পরিচালক সৈকত ইমাম খান। গতকাল শুক্রবার দুপুরে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে কয়ড়া গ্রামে ‘বঙ্গ বাহাদুরের’ মরদেহ মাটিচাপা দেওয়া স্থান পর্যবেক্ষণে গিয়ে সৈকত ইমাম এ কথা জানান। তাঁর নেতৃত্বে জাতীয় জাদুঘরের তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল ওই স্থান পর্যবেক্ষণ করেন।
সৈকত ইমাম খান বলেন, ‘ভারতের আসাম থেকে আসা বঙ্গ বাহাদুর নামের বুনো হাতিটির কঙ্কাল নেওয়ার জন্য সরিষাবাড়ীর কামরাবাদের কয়ড়া গ্রামের হাতিটি মাটিচাপা দেওয়ার জায়গাটি পর্যবেক্ষণ করতে এসেছি। সরকারের অনুমতি পেলেই হাতির কঙ্কাল উদ্ধার করে জাতীয় জাদুঘরে নেওয়া হবে।’
হাতিটি গত ২৮ জুন ভারতের আসাম রাজ্য থেকে বানের পানিতে ভেসে আসে। ব্রহ্মপুত্র নদ বেয়ে কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে বাংলাদেশে। এরপর বগুড়ার সারিয়াকান্দি হয়ে যমুনা নদীর পানিতে ভেসে সিরাজগঞ্জের কাজীপুর উপজেলার মনসুরনগর ইউনিয়নের দুর্গম ছিন্নারচরে ১১ দিন অবস্থান করে। ২৭ জুলাই হাতিটি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় আসে। গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে নেওয়ার জন্য বন বিভাগ ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হাতিটিকে আটকাতে অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। ১৬ আগস্ট ভোরের দিকে হাতিটির মৃত্যু হয়। এর আগে হাতিটি ‘বঙ্গ বাহাদুর’ বলে পরিচিতি পায়।
কৃপ্র / এম ইসলাম