কৃষি প্রতিক্ষন বগুড়া : চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বগুড়ার পোল্ট্রি শিল্প। বন্ধ হয়ে গেছে জেলার অর্ধেক খামার। বেকার হয়ে পড়েছে শত শত পরিবার।একদিকে উচ্চমূল্যের নিম্নমানের পোল্ট্রি খাদ্য ও ওষুধ। অন্যদিকে উৎপাদিত মুরগি ও ডিমের দাম কম পাওয়ার কারনে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন ।
এ অবস্থায় এ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে বাজার মনিটরিং এবং ব্যাংক সুদ কমানোর দাবি পোল্ট্রি শিল্পের নেতাদের।
বিপুল সম্ভাবনা নিয়ে বগুড়ায় গড়ে ওঠা পোল্ট্রি শিল্প এক সময় ছিল আকর্ষণীয় লাভজনক ব্যবসা। ফলে স্বল্পপুঁজির এই শিল্পে উৎসাহী হয়ে ওঠে শিক্ষিত,অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকেরা। কিন্তু সরকারি নজরদারির অভাবে গত কয়েক বছরে এ শিল্পের বাজার হয়ে পড়েছে পুরোপুরি অস্থিতিশীল।
পোল্ট্রি খাদ্য, বাচ্চা ও ওষুধের মূল্য বেড়েছে দফায় দফায়। আর বাজার মনিটরিং না থাকায় ভেজাল ওষুধ আর নিম্নমানের খাদ্যে বাজার সয়লাব হয়েছে। এতে করে মোড়ক আর অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে মুরগি। অন্যদিকে উৎপাদিত ডিম ও মুরগির দাম না বাড়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন প্রান্তিক খামারিরা। অনেকে পূঁজি হারিয়ে নিঃস্ব ও বেকার হয়ে পড়েছেন।
চড়া সুদে ব্যাংক ঋণ এবং স্থানীয়ভাবে মুরগির রোগ, খাদ্য ও ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে ল্যাব না থাকায় প্রতিনিয়ত প্রতারিত ও ক্ষতির মুখে পড়ছেন বলে অভিযোগ বগুড়া জেলা পোল্টি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরুল আমিন লিডারের।
আর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আ. ম. শফিউজ্জামানের মতে, খামারিদের ক্ষতির বড় কারণ হচ্ছে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। দেশের ৩৬ ব্যবসায়ীর কাছে লেয়ার ও বয়লার খামারিরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। বগুড়াতে ছোট বড় খামার রয়েছে প্রায় ৮ হাজার। এই খামারগুলোতে পালন করা হচ্ছে লেয়ার, ব্রয়লার ও সোনালী জাতের মুরগী।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম