কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধ সরবরাহে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে সরকার। কোরবানির হাটে সুস্থ, সবল গবাদিপশু সরবরাহ ও বিক্রয় নিশ্চিত করার জন্য এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ই আগস্ট মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাকসুদুল হাসান খানের সভাপতিত্বে ওই মন্ত্রণালয়ে গরু মোটাতাজাকরণসহ কোরবানির পশু নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ১৪ ধরনের ওষুধ সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ আরোপের সিদ্ধান্ত হয়। এ বিষয়ে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে চিঠি দেয়ার কথা বলা হয় ওই সভায়।
গত ১৮ই আগস্ট এ বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতেই অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা আরোপের কাজ চলছে। এতে স্টেরয়েড জাতীয় ১০টি ও হরমোন জাতীয় চারটি ওষুধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। স্টেরয়েড জাতীয় ১০টি ওষুধের মধ্যে রয়েছে কর্টিসন, কোর্টিকোস্টারওয়ান, হাইড্রোকোর্টিসন, প্রেডনিসোন, প্রেডনিসোলনি, মিথাইল প্রেডনিসোলনি, ট্রিয়ামসিনোলোনি, ফ্লোমেথাসোনি ও বেটামেথিসোনি।
এছাড়া, হরমোন জাতীয় ওষুধের মধ্যে রয়েছে- এসট্রোজেন, প্রোজেস্টারওয়ান, টেসটোস্টারওয়ান ও এক্স গ্রোথ হরমোন। এদিকে কোরবানির পশু কেনাবেচাকে সামনে রেখে দুই ধরনের টিভি স্ক্রল প্রচার করবে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ড। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ওই দুটি টিভি স্ক্রল তৈরি করে প্রচারের জন্য গণমাধ্যমে পাঠিয়েছে। প্রথম টিভি স্ক্রলে বলা হয়েছে, মাংসের জন্য গরু লালনপালনে স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধ ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।
অন্য আরেক স্ক্রলে বলা হয়েছে, মাংসের জন্য গরু লালনপালনে স্টেরয়েড ও হরমোনের ব্যবহার জনস্বাস্থ্য ও প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। একই সঙ্গে আলাদাভাবে একটি সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাংসের জন্য বিশেষ করে কোরবানির উদ্দেশ্যে গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্ট করতে স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধ প্রাণিদেহে প্রয়োগ, পশুখাদ্যে ব্যবহার ও খাওয়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং আইনত দণ্ডনীয়। এটা প্রাণিস্বাস্থ্য ও জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
গবাদিপশু হৃষ্টপুষ্টকরণে এ জাতীয় ওষুধ ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে মৎস্য, খাদ্য ও পশুখাদ্য আইন-২০১০ ও পশুখাদ্য বিধিমালা- ২০১৩ মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সহসাই এ বিজ্ঞপ্তি বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রচার হবে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম