কৃষি প্রতিক্ষন রাজশাহী : রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ সংস্কারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেড় কোটি টাকার সিসি ব্লকের কাজ কোন উপকারেই আসছে না। ভাঙন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার তড়িঘড়ি করে কাজ শেষ করায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ পদ্মা তীরবর্তী বাসিন্দাদের। যদিও ঠিকাদার বলছেন, হঠাৎ করে বাঁধে ধস নামায় তীর রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাঁচা সিসি ব্লকের ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন তারা।
অবশ্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, কাজে কোন রকম অনিয়ম বা অবহেলার অভিযোগ পেলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত বর্ষা মৌসুমে ভূমিগ্রাসী হয়ে উঠেছিল প্রমত্তা পদ্মা। কিন্তু এ বছর আগে ভাগে নদীর পানি বাড়ায় তীরে আছড়ে পড়ছে উথাল পাথাল ঢেউ। এতে ভাঙন শুরু হয়েছে রাজশাহী নগরীর জিয়ানগর, বুলনপুর, সোনাইকান্দি, চারঘাট ও বাঘার উপজেলার তীরবর্তী বেশকিছু এলাকায়।
ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড তড়িঘড়ি করে টি-বাঁধে পাড় বাঁধাইয়ের জন্য দেড় কোটি টাকার সিসি ব্লকের কাজ শুরু করে। কিন্তু কাজ শেষ না হতেই বাঁধে ধস নামে। এখন প্রবল স্রোতের কারণে বস্তায় বালু ভরে ভাঙন রোধের চেষ্টাও ব্যর্থ হচ্ছে। অব্যাহত নদী ভাঙনে আতংকিত তীরবর্তী বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, ঠিকাদার কাঁচা সিসি ব্লক দিয়ে পাড় বাঁধাই করায় ভেস্তে গেছে প্রকল্পের টাকা।
তবে ভাঙন রোধে কাঁচা সিসি ব্লক দিয়ে পাড় বাঁধাইয়ের কথা স্বীকার করলেও কাজের মান খারাপ এটি মানতে নারাজ সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মুখলেছুর রহমান। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বর্তমানে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার ১ দশমিক ২৬ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কৃপ্র/ ফিরোজ/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম