কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ যশোরের কেশবপুরে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উপজেলার ৫২টি গ্রামের প্রায় ১৬ হাজার পরিবার। ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে তিন হাজার ১০০ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। বুড়িভদ্রা, হরিহর ও আপারভদ্রা নদীর পানি বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এসব নদীর পানি উপচে এখন কেশবপুর শহরে প্রবেশ করেছে। খবর ইত্তেফাক অনলাইন।
কাশিমপুরে আপার ভদ্রায় ক্রস ড্যাম না দেয়ার কেশবপুর, মনিরামপুরসহ সংলগ্ন এলাকায় পানির চাপ বেড়েছে। হরিহর ও শ্রী নদী পলিতে ভরাট হয়ে পানি সরতে পারছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ড এ কথা স্বীকার করে নিয়ে বলছে এ খাতে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় দুই বছর ক্রসড্যাম দেয়া হয়নি।
তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক সোমবার দফায় দফায় পানি সম্পদ মন্ত্রী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছেন। দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য তিনি ড্রেজার পাঠানোর অনুরোধ জানিয়েছেন। মিসেস সাদেক জানান, বন্যাকবলিত মানুষের সহায়তায় সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফ রায়হান কবির জানান, নতুন করে বৃষ্টি হওয়ায় আরও দেড় ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার ৩০০ পরিবারকে পলিথিন দেয়া হয়েছে এবং উপজেলা পরিষদ থেকে চার লাখ টাকার শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।
কৃপ্র /এম ইসলাম