কৃষি প্রতিক্ষন ডেস্ক : সারা দেশে চলছে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট। আর এ কারণে মোংলা বন্দরসহ সারা দেশে পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ আছে।বেতন-ভাতা বৃদ্ধিসহ ১৫ দফা দাবিতে গতকাল সোমবার দিবাগত রাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দেয় নৌ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। এতে সমর্থন দেয় ১৭টি নৌ শ্রমিক সংগঠনের মোর্চা বাংলাদেশে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার নৌযানের দুই লাখ শ্রমিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ ধর্মঘট পালন করছেন। নৌযান ধর্মঘটের ফলে মোংলা বন্দরে অবস্থান করা গম, সার, ক্লিঙ্কার, পাথর, যন্ত্রপাতিসহ সব দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য খালাস ও পরিবহন কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। পণ্য ও যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় মোংলা বন্দরের সঙ্গে সারা দেশের নৌ যোগাযোগও বন্ধ আছে।
ধর্মঘটের কারণে আজ মঙ্গলবার সকালে জাহাজের পণ্য খালাসে কোনো শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। বন্দর চ্যানেলে পণ্য খালাসের অপেক্ষায় অলস পড়ে রয়েছে বিদেশি জাহাজ ও দেশি নৌযানগুলো। বেকার হয়ে পড়েছেন বন্দরের শ্রমিক-কর্মচারীরা। নৌ শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ওয়েজুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ‘নৌযান শ্রমিকদের বেতন সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা বৃদ্ধি, কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ পুনর্নির্ধারণ, নদীর নাব্যতা রক্ষা ও নৌপথে সন্ত্রাসী-ডাকাতি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে মোংলা বন্দরসহ সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট পালন শুরু করেছেন নৌযান শ্রমিকরা।’
তবে তেলবাহী ট্যাঙ্কারের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করায় ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকছে প্রায় পাঁচ হাজার ট্যাঙ্কার। এদিকে খুলনা প্রতিনিধি জানান, নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটের ফলে খুলনার রুজভেল্ট জেটি এবং ৪, ৫, ৬ ও ৭ নম্বর ঘাটে অবস্থান করা শত শত নৌযান হতে আজ থেকে কোনো পণ্য ওঠানামা করছে না। ফলে স্থবির হয়ে পড়েছে এসব জেটি ঘাট।
ধর্মঘটের ফলে মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি হয়ে আসা বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এসব স্থানে কয়েকশ কার্গো, বার্জ অবস্থান করছে। খুলনা অঞ্চলের নৌযান শ্রমিক নেতা বাহরুল আলম জানান, তাঁদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা ধর্মঘট অব্যাহত রাখবেন। নৌযান ধর্মঘটের ফলে খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম