কৃষি প্রতিক্ষন চট্টগ্রাম : ভারত ও মিয়ানমার থেকে পশু না এলেও এবার কোরবানিতে কোনো সংকট হবে না বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের দাবি, স্থানীয়ভাবেই এবার চাহিদার সমপরিমাণ প্রায় ৫ লাখ পশু প্রস্তুত আছে। মূলত কোরবানির ঈদ সামনে রেখে স্থানীয় খামার ও পারিবারিকভাবে এসব পশু লালন পালন করা হয়েছে। তবে সারা বছরই চাহিদা অনুযায়ী, স্থানীয়ভাবে পশুর সরবরাহ নিশ্চিত করতে সঠিক পরিকল্পনা ও খামারিদের সহায়তার ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
গেলবছর চট্টগ্রামে কোরবানি দেয়া হয় ৪ লাখ ৯৩ হাজার পশু। বিদেশ থেকে তেমন আমদানি না হওয়া যার ৯০ ভাগই ছিল দেশী। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এবারও সম পরিমাণ পশু কোরবানি দেয়া হতে পারে। তাতে এবারও ভারত বা মিয়ানমার থেকে পশু আসার সম্ভবনা কম।
এজন্য কেউ কেউ সংকটের আশংকা করলেও তা উড়িয়ে দিয়েছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর। চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত কোরবানিযোগ্য পশু মজুদ আছে ৪ লাখ ৯২ হাজার। এরমধ্যে ৩ লাখ ৩৬ হাজার গরু, ১ লাখ ২০ হাজার ছাগল এবং প্রায় ৩৮ হাজার মহিষ। মূলত কোরবানিকে সামনে রেখে ৩ হাজার ২শর বেশি খামারের পাশাপাশি বাড়িতে এসব পশু লালন পালন করছেন স্থানীয়রা। স্থানীয়ভাবে পশু পালনের এই উদ্যোগকে সামনেও ধরে রাখার তাগিদ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, পশুর চাহিদা মেটাতে হলে দরকার পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। তাহলে চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনীতি। এদিকে স্টেরয়েড ব্যবহার করে কোরবানির পশু যাতে মোটাতাজা করা না হয় সেজন্য বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ দপ্তর।
কৃপ্র/ বাদল/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম