কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে এবার কাপ্তাই হ্রদে মাছের বাম্পার আহরণ হয়েছে। মত্স্যজীবীদের মধ্যে ফিরে এসেছে কর্মচাঞ্চল্য। সাড়ে তিন মাস বেকার থাকার পর মাছ ধরা উন্মুক্ত হওয়ায় জেলেরাও আছে স্বস্তিতে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় জেলেরা পূর্ণোদ্যমে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু করেছে।
প্রথম দিনেই মত্স্য আহরণে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। কাপ্তাই হ্রদে মাছের সুষ্ঠু ও প্রাকৃতিক প্রজনন, বংশ বিস্তার এবং উৎপাদন বাড়াতে সব ধরনের মাছ শিকার, আহরণ ও বাজারজাতকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ায় দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পর কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা উন্মুক্ত হয়েছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসন এবং বিএফডিসি মাছের প্রজনন মৌসুম শেষে মাছ শিকারের ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। গত ১২ মে থেকে ২১ আগস্ট পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল। এ সময়ে উপার্জনের বিকল্প কোনো উৎস না থাকায় হ্রদের মত্স্যজীবীরা চরম অভাব-অনটনের মধ্যে দিন যাপন করেছিলেন। এখন প্রায় লক্ষাধিক মত্স্যজীবীর জীবিকা পুনরায় সচল হয়ে উঠেছে।
রাঙামাটি জেলা মত্স্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুর রহমান জানান, কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন সম্পন্ন হয়েছে বিধায় প্রশাসন থেকে শর্তসাপেক্ষে জেলেদের মত্স্য আহরণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএফডিসি রাঙামাটি জেলা দফতর থেকে লাইসেন্স গ্রহণ এবং আহরিত মাছের শুল্ক প্রদান করে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার ও আহরণ করা যাবে।
একই সঙ্গে অবমুক্ত মত্স্য পোনার নিরাপত্তা রক্ষা ও বংশবৃদ্ধির জন্য রাঙামাটি সদরের ফিশারিঘাট সংলগ্ন ২ কিলোমিটার এবং লংগদু উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সংলগ্ন ২ কিলোমিটার হ্রদ এলাকার অভয়াশ্রমে আগের মতো কোনোরকম মাছ শিকার ও আহরণ করা যাবে না।
কৃপ্র/ এম ইসলাম