কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ ভারত থেকে গরু আমদানী বন্ধ হওয়ায় পর যশোরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য গরু খামার। এসব খামারে মোটাতাজা করা হয়েছে ৩৪ হাজার গরু। খামার মালিকরা এবারের কোরবানির ঈদে গরু বিক্রি করে লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। খবর সময় নিউজ।
প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, খামারগুলো এবার চাহিদামত গরু সরবরাহ করতে সক্ষম। প্রায় দেড় বছর ধরে যশোরের সীমান্তগুলো দিয়ে ভারতীয় গরু আসা বন্ধ রয়েছে। এতে করে দেশের গরুর চাহিদা বাড়ায় যশোরে গড়ে উঠেছে ছোট বড় প্রায় ১১ হাজার খামার। সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর, নরেন্দ্রপুরসহ ৮ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এসব খামার গড়ে উঠেছে। আর কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে এসব খামারে গত ৬ মাসের পরিচর্যায় মোটাতাজা করা হয়েছে পর্যাপ্ত গরু। ইতোমধ্যে বিক্রিও শুরু হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মীদের দাবি, খামারগুলোতে ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিক নিয়মে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। আর যশোর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবতোষ কান্তি সরকার বলছে, খামারে যে পরিমাণ গরু পালন করা হয়েছে তাতে যশোর অঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও পাঠানো সম্ভব।
প্রাণিসম্পদ বিভাগের তথ্য মতে, কোরবানির জন্য যশোরে ২৫ হাজার গরুর চাহিদা রয়েছে। এর বিপরীতে খামারগুলো থেকে ৩৪ হাজার গরু ও ৩৪ হাজার ছাগল সরবরাহ করা যাবে।
কৃপ্র / এম ইসলাম