কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাংলাদেশের ফুলের রাজধানীখ্যাত যশোরের ঝিকরগাছা । কৃষি বিভাগের হিসাব মতে এ অঞ্চলে বছরে প্রায় ২শ’ কোটি টাকার ফুল উৎপাদন হয়ে থাকে। শুধুমাত্র গদখালিতে বছরে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ করেন চাষীরা। ফুল বিক্রির টাকায় তাদের জীবনযাপন করতে হয়। কিন্তু গত কয়েক দিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে চাষীদের ফুল ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। এতে গদখালির চাষীদের প্রায় ১০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে। এর আগে ১০ আগস্ট ভারি বৃষ্টিপাতে তাদের ক্ষতি হয়েছিল। খবর জনকণ্ঠ অনলাইন।
গদখালির সৈয়দপাড়ার আতিয়ার গাজী জানান, এবার তিনি এক একর জমিতে গোলাপের আবাদ করেছিলেন। বৃষ্টিতে তার ক্ষেত পুরোটাই নষ্ট হয়ে গেছে। নটুয়াপাড়ার সাহেব আলী দেড় একর জমিতে আবাদ করেছিলেন গোলাপ আর গ্লাডিউলাস ফুলের। তার বেশিরভাগ জমির ফুল পানি জমে নষ্ট হয়েছে। গদখালি ফুল ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি আব্দুর রহিম জানান, যশোর জেলায় সাড়ে ৪ হাজার কৃষক ফুল চাষ করেন। এর মধ্যে ঝিকরগাছা ও গদখালিতে রয়েছেন সাড়ে তিন হাজার ফুল চাষী। এসব চাষীর উৎপাদিত ফুল গদখালির হাটে কেনাবেচা হয়। যা গোটা দেশের মোট ফুলের চাহিদার ৭০ ভাগ ফুল গদখালি থেকে সরবরাহ করা হয়। এসব ফুলের অর্ধেক পাঠানো হয় ঢাকা ও চট্টগ্রামে। বাকি অর্ধেক যায়, উত্তরাঞ্চলের জেলা রংপুর, দিনাজপুর, বগুড়া, গোপালগঞ্জ ও বরিশাল এলাকায়।
গত দুই দফার অবিরাম বর্ষণে তাদের অঞ্চলের সব ফুল চাষী কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষেতের মধ্যে পানি জমে ফুল পচে যাচ্ছে। আব্দুর রহিম বলেন, গদখালির ফুল চাষীদের উৎপাদিত ফুল সংরক্ষণের জন্য একটি কোল্ড স্টোরেজ স্থাপন জরুরী। অথচ সরকার গদখালিতে না করে যশোরের ঝুমঝুমপুর বিএডিসি কার্যালয়ের মধ্যে করেছে। যেখানে এখানকার চাষীদের যাওয়া সম্ভব না। এ ব্যাপারে যশোর জেলা কৃষি অফিসের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এমদাদ হোসেন জানান, যশোরে এক হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়ে থাকে। কয়েক দিনের টাকা বৃষ্টির কারণে ফুল চাষীদের ক্ষতি হয়েছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম