কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় আউশ ধান কাটা শুরু হয়েছে।এ অঞ্চলে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলাগুলা যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্র জানায়,চলতি মৌসুমে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় ১ লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৭ হেক্টর জমিতে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৯ টন আউশ ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে যশোর জেলায় ২১ হাজার ৬৪৭ হেক্টর জমিতে ৫৪ হাজার ৩৫১ টন, নড়াইলে ৬ হাজার ৪২১ হেক্টরে ১০ হাজার টন, ঝিনাইদহে ২৭ হাজার ১৭৫ হেক্টরে ৬৯ হাজার ২৩০ টন, মাগুরায় ৫ হাজার ৫৮৮ হেক্টরে ১২ হাজার ৮২০ টন, কুষ্টিয়ায় ৩১ হাজার ৫৬৬ হেক্টরে ৬৯ হাজার ৮৮০ টন, চুয়াডাঙ্গায় ২৯ হাজার ৫০২ হেক্টরে ৮১ হাজার ৪৩৪ টন, মেহেরপুরে ৯ হাজার ৬১৯ হেক্টরে ২৬ হাজার ৬৪২ টন, সাতক্ষীরায় ৬ হাজার ২২৮ হেক্টরে ১৫ হাজার ৮৭০ টন, বাগেরহাটে ৫ হাজার ৭৫৪ হেক্টরে ১৩ হাজার ৭৫১ টন এবং খুলনা জেলায় ৩ হাজার ১৯৭ হেক্টর জমিতে ৪ হাজার ৯৪১ টন আউশ ধান চাষ ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
নড়াইল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক শেখ আমিনুল হক বলেন, আউশ ধান একটি সহজলভ্য কৃষি ফসল। এ ধান চাষে কৃষকদের তেমন কোন খরচ নেই এবং কোন ধরনের ঝামেলাও পোহাতে হয়না। তাছাড়া সরকার আউশ ধান চাষের জন্য কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ, সার এবং সেচ ও আগাছা নিড়ানোর জন্য নগদটাকা কৃষি প্রনোদনা দিয়েছে। যে কারণে এই ধান চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। আউশের চাল পুষ্টি সম্মৃদ্ধ খাদ্যশস্য। যে কারণে প্রতিবছর এ অঞ্চলে আউশের চাষ বাড়ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকালে এ অঞ্চলে আউশের বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি জানান।
কালিয়া উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কৃষক ইলিয়াস বিশ্বাস, দাউদ হোসেন ও লায়েক শেখ জানান,আউশ ধান উৎপাদনে কৃষকদের তেমন বেগ পেতে হয়না।জমির সামান্য পরিচর্যা করলেই ভালো ফলন পাওয়া যায়। তেমন কোন ওষুধের প্রয়োজন পড়েনা। এবার তারা প্রত্যেকে ২-৩ একর জমিতে আউশের চাষ করেছেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।
নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর গ্রামের গৃহবধু সুফিয়া বেগম জানান, আউশ ধানের মিষ্টি সুস্বাদু চাল দিয়ে তৈরি পায়েশ ও খিচুড়ি শিশুদের প্রিয় খাবার।
কৃপ্র/ এম ইসলাম