‘১৭টি এনজিও অনুদান দিয়েছে ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা’
কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহীর বাঘায় গত এক সপ্তাহে পদ্মার পানি অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পদ্মা পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ এবং বন্যায় বিশুদ্ধ পানিসহ খাদ্যাভাবে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন।বন্ধ হয়ে গেছে ১১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্থানীয় প্রশাসনের আওতায় ইতোমধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকায় সরকারি সহায়তা দেয়া হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা পর্যাপ্ত নয়।খবর ইত্তেফাক অনলাইনের।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, সরকারি সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে এমন প্রোগ্রামগুলোতে এনজিওদের অস্বাভাবিক তত্পরতা লক্ষ্য করা যায়। কিন্তু হাজার হাজার বানভাসি মানুষের জন্য এনজিওগুলো কিছুই করছে না। এবারের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পদ্মার চরাঞ্চলের চকরাজাপুর, আতারপাড়া, চৌমাদিয়া, মানিকের চর, দিয়ার কাদিরপুর, লক্ষ্মীনগর, টিকটিকি পাড়া এবং কালিদাস খালিসহ চরাঞ্চলের ১৫টি গ্রাম।
চকরাজাপুরের খোয়াজ শিকদার জানান, গতমাসের শেষের দিকে নদীতে পানি বাড়তে শুরু করে। এরপর দেখা দেয় ভাঙন। পরে পানি কমে যাওয়ায় ভাঙন কিছুটা কমে এসেছিল। কিন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে দ্বিগুণহারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল ডুবে একাকার হয়েছে। এ খবর শুনে স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন চাল, চিড়া, গুড়, মুড়ি নিয়ে ছুটে এলেও এনজিওগুলোর দেখা মেলেনি।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম বলেন, এখানে ৩০টি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) রয়েছে। আমি বন্যার্তদের সাহায্যে তাদের এগিয়ে আসার জন্য অনুরোধ করেছি। অথচ মাত্র ১৭টি এনজিও অনুদান দিয়েছে ১৮ হাজার ৫শ’ টাকা। যা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। অথচ যারা বড়।
কৃপ্র/ এম ইসলাম