কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : বাজারে আয়োডিনযুক্ত প্যাকেটজাত লবণের দাম কেজিপ্রতি ৩ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন মিল মালিকরা। পণ্যটির সরবরাহ ঘাটতি দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। তবে বর্তমানে বাজারে লবণের তেমন কোনো সংকট নেই।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩-১৪ অর্থবছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্য ছিল ১৬ লাখ টন। এর মধ্যে খাওয়ার লবণ ৮ লাখ ও শিল্পে ব্যবহারের জন্যও ৮ লাখ টন। ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত দেশে ১৭ লাখ ৫৩ হাজার টন লবণ উৎপাদন হয়েছে। ওই সময় খাওয়ার লবণ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৩৫ হাজার টন।
সূত্র আরো জানায় , নভেম্বর থেকে দেশে নতুন মৌসুমের লবণ উৎপাদন শুরু হবে। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে দেড় লাখ টন লবণ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে। দেশে যে পরিমাণ লবণ মজুদ রয়েছে, তাতে সংকট দেখা দেয়ার কোনো কারণ নেই। সেই সঙ্গে আমদানিকৃত লবণ ভোজ্য নাকি শিল্পে ব্যবহার হবে, তা নিয়েও মতবিরোধ তৈরি হয়েছে।
কক্সবাজার লবণ মিল মালিকরা জানান, এক সপ্তাহ আগেও তারা আয়োডিনযুক্ত প্যাকেটজাত লবণ বিক্রি করেছিলেন প্রতি কেজি ১৫ টাকায়। বর্তমানে তা ১৮-২০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। অথচ একই লবণ বড় বড় কোম্পানি কেজিপ্রতি ৩৮ টাকায় বিক্রি করছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) হিসাব অনুযায়ী, শনিবার লবণ বিক্রি হয় প্রতি কেজি ২৫-৩৫ টাকায়। পরদিন তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫-৩৮ টাকায়। আয়োডিনযুক্ত লবণের দাম দুদিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩ টাকা বেড়েছে। এক বছর আগে আয়োডিনযুক্ত লবণ বিক্রি হয়েছিল প্রতি কেজি ১৫-২৮ টাকা। এ সময়ের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা বা ৪৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
বিসিকের একজন কর্মকর্তা জানান, দুই মাসের মধ্যে বাজারে নতুন মৌসুমের লবণ সরবরাহ শুরু হবে। সরকার যে পরিমাণ লবণ আমদানির অনুমোদন দিয়েছে, তা দেশে পৌঁছতে আরো সময় লাগবে।
এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) মুন্সী সফিউল হক বলেন, দেশে লবণের হিসাবটি মূলত বিসিক দেখে থাকে। বিসিকের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর প্রায় ২ লাখ টন লবণের ঘাটতি আছে। এ কারণে দেড় লাখ টন লবণের আমদানির অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কক্সবাজার লবণ মিল মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, সরকার দেড় লাখ টন লবণ আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অথচ দেশী লবণ গুণে ও মানে অনেক ভালো। আমদানিকৃত লবণ অর্ধেক শিল্পে ও অর্ধেক ভোজ্য হিসেবে ব্যবহারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম