কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : আগস্টে অতি বর্ষণের ফলে জেলার আমন চাষিরা সময় মত আমন ধানের চারা রোপণ করতে পারেনি। কোন কোন এলাকায় আমনের চাষাবাদ শেষ করতে আগামী মাসের মাঝামাঝি সময় পার হয়ে যাবে। তবে চারার কোন সংকট হবে না বলে নিশ্চিত করেছে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর। খবর বাসসের ।
অতি বর্ষণের ফলে একটানা ১৫দিন জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদের কাজ প্রায় বন্ধ ছিল। গত ৪/৫ দিনে বৃষ্টি না থাকায় এবং মাঠের পানি কমে যাওয়ায় চাষিরা দিন রাত ট্রাক্টর ও গরু দিয়ে জমি চাষ করে চারা রোপণের উপযোগী করে তুলছে। এদিকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে একটানা বর্ষণে ৩০৪ হেক্টরের আমন বীজতলা বিনষ্ট হয়েছে ।
চলতি মৌসুমে পিরোজপুরে ১ লাখ ১৮ হাজার মেঃ টন আমন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পিরোজপুর জেলার ৭ উপজেলার ৫২টি ইউনিয়ন ও ৩টি পৌর এলাকায় এবার ৬৫ হাজার ২শত হেক্টর জমিতে ১ লাখ ১৭ হাজার ৮শত ৬৯ মেঃটন আমন চাষের এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এরমধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের আমন চাষ হবে ৮ হাজার ৫ শত ৬৫ হেক্টরে। উফশী চাল উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ হাজার ২ শত ৮০ মেঃ টন। স্থানীয় জাতের আমন চাষ হবে ৫৬ হাজার ৬ শত ৩০ হেক্টরে। উৎপাদিত হবে ৯৪ হাজার ৫ শত ৭২ মেঃ টন চাল। উপজেলাগুলোতে চাষের এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা উফশী এবং স্থানীয় জাত মিলিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে পিরোজপুর সদরে ১০ হাজার ৯ শত হেক্টরে ১৮ হাজার ৯শত ৩৭ মেঃ টন, জিয়ানগরে ৫ হাজার ৪ শত ১ হেক্টরে ৯ হাজার ৪ শত ৪০ মেঃ টন, কাউখালীতে ৪ হাজার ৬ শত ২০ হেক্টরে ৭ হাজার ৮ শত ৪১ মেঃ টন, নেছারাবাদে ৭ হাজার ২ শত হেক্টরে ১২ হাজার ২ শত ৬০ মেঃ টন, নাজিরপুরে ৮ হাজার ৫ শত ৭৩ হেক্টরে ১৬ হাজার ৩ শত ১৩ মেঃটন, ভান্ডারিয়ায় ৮ হাজার ১ শত ৯৬ হেক্টরে ১৩ হাজার ৮শত ২৪ মেঃ টন এবং মঠবাড়িয়ায় ২০ হাজার ৩ শত ১০ হেক্টরে ৩৯ হাজার ২ শত ৫৩ মেঃ টন চাল।
পিরোজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সংযুক্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় বাসস’কে জানান, আমাদের কর্মকর্তারা মাঠে মাঠে ঘুরে চাষিদের বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন। বীজতলার চারা তলিয়ে গেলেও পানি নেমে যাবার পর রৌদ্রের তাপ পেয়ে খুব একটা ক্ষতি হবে না বলে আশা করছে চাষিরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পিরোজপুরের উপ-পরিচালক মো. আবুল হোসেন তালুকদার আশা প্রকাশ করে বলেন, বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমন চাষের এবং চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের মতো চলতি বছরেও অতিক্রম করা সম্ভব হবে।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম