কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু নিজ নিজ গ্রামকে জঙ্গিমুক্ত রাখার জন্য কৃষি শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘জঙ্গিরা মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়, তারা কৃষি শ্রমিকদের শত্রু, নারীর শত্রু, উন্নয়নের শত্রু। তাই কৃষিশ্রমিকরা গ্রামকে জঙ্গিমুক্ত রাখবে, শান্তিতে কৃষিকাজ করবে।’ খবর বাসসের।
তথ্যমন্ত্রী দেশের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি কৃষির শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাদের নিবন্ধন, তালিকা তৈরি ও কৃষিশ্রমিক বিধিমালা প্রণয়নের উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিকেএসএফ মিলনায়তনে কৃষিশ্রমিক অধিকার মঞ্চ, কর্মজীবী নারী ও পল্লীকর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সমন্বিত উদ্যোগে আয়োজিত কৃষিশ্রমিকদের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার প্রবর্তিত সামাজিক নিরাপত্তা জালের মাধ্যমে প্রচলিত বিধবাভাতা, বয়স্কভাতা দেয়ার পাশাপাশি সরকার পল্লী রেশন প্রদানের কথাও ভাবছে। এছাড়াও রয়েছে ভূমিহীনদের মাঝে খাসজমি বিলি-বন্টনের উদ্যোগ। এসব উদ্যোগে যেন কৃষিশ্রমিকেরা অগ্রাধিকার পায়, সেজন্য তাদের তালিকা এবং নিবন্ধন জরুরি। আর তাদের টেকসই উন্নয়ন, বছরে অন্ততঃ ২০০ দিনের কাজের অধিকার ও ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত করতে প্রয়োজন কৃষিশ্রমিক বিধিমালা।’
তথ্যমন্ত্রী এসময় উপস্থিত কৃষিশ্রমিকদের আঠারো বছরের আগে বিয়ে নয়, বিশ বছরের আগে সন্তানধারণ নয়, গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়ের পুষ্টি, ছয়মাস বয়সী শিশুর টিকা দেয়া, খাওয়ার আগে হাতধোয়া এবং যৌতুক-তামাক-মাদককে না বলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন।
কৃষিশ্রমিক অধিকার মঞ্চ ও পিকেএসএফ সভাপতি ডঃ কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে কৃষিশ্রমিকদের সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ এমপি, পিকেমসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল করিম, পেশাজীবী নারী সমাজ সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম এবং কর্মজীবী নারী সভাপতি ডঃ প্রতিমা পাল মজুমদার। কর্মজীবী নারী’র নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক ও ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার যথাক্রমে স্বাগত বক্তব্য ও মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন।
কৃপ্র/ এম ইসলাম