আব্দুস সাত্তার, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চারান বিলের চার পাশে বসবাস করে সহস্রাধিক জেলে পরিবার।তাদের প্রধান পেশা মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা।আর চারান বিলে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থাকায় পথে বসার উপক্রম হয়েছে জেলেদের।এনজিও বা চড়াসুদে টাকা নিয়ে জাল ও নৌকা কিনে মাছ ধরতে পারছেনা।বিলে মাছ ধরতে না পেরে আর কোন কাজ না জনায় অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে প্রকৃত জেলেরা। তাদের বাপ দাদার পেশা মাছ ধরাকে ধরে রাখতে ও জেলেদের বাচাতে ১৪০ জন কার্ডধারী জেলে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি আবেদন করেছে।
জানাগেছে,১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সারা দেশে প্রকৃত মৎস্য জীবিদের নিয়ে মৎস্য জীবি সমবায় সমিতি গঠন করেন।দেয়া হয় তাদের নিবন্ধন সেই ১৯৭২ সালে চারান বিলের চার পাশে বসবাস করা প্রকৃত মৎস্যজীবিদের নিয়ে চারান বিল মৎস্য জীবি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়।ওই সমিতির মাধ্যমে চারান বিল জল মহাল ইজারা নিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল সহস্রাধিক জেলে পরিবার।
২০১৫ সালে বাপ,ছেলে,ভাইদের নিয়ে গঠিত পরিবার ভিত্তিক পাচ চারান মৎস্য জীবি সমিতি নামে একটি সমিতি গঠন করা হয়।তার পর ওই সমিতির নজরে পড়ে চারান বিল।ইজারা বঞ্চিত হয় প্রকৃত মৎস্য জীবিরা।বিল ইজারা পেতে ফুসে ওঠে প্রকৃত জেলেরা আন্দোলন সংগ্রামে।তারা উপজেলা মৎস্য অফিস ঘেরাও ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।পরবর্তীতে হাইকোর্টে একটি রিট করেন প্রকৃত মৎস্য জীবিরা।তাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাই কোর্ট ৬ মাসের জন্য চারান বিল জল মহাল ইজারা ও মাছ ধরা স্থগিত করেন।
বর্তমানে চারান বিলের প্রকৃত জেলেরা দীর্ঘদিন মাছ ধরতে না পারায় ঋণে র্জজড়িত হয়ে অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত ও মানবেতর জীবন যাপন করছে প্রকৃত জেলেরা।মামলা চলা কালিন সময় খাস কালেকশনের মাধ্যমে ইজারা আদায় করে মাছ ধরার অনুমতি এবং জেলেদের বাচানোর জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানিয়েছে প্রকৃত জেলেরা।
কৃপ্র/ এম ইসলাম