কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : ৩৬টি খাল থেকে নির্গত বিষাক্ত বর্জ্য, নদীর উজানে রাবার ড্যাম তৈরি, ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন সব মিলিয়ে সংকটাপন্ন চট্টগ্রামের হালদা নদীর মৎস প্রজনন কেন্দ্র। যার ফলে, কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াই এবার ডিম ছাড়েনি মা মাছ; হালদায় এমন ঘটনা এই প্রথম। শুক্রবার সকালে নগরীর জামালখানে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত ‘হালদা নদীর বর্তমান প্রেক্ষাপট এবং করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তরা এ মন্তব্য করেন। তাদের দাবি, দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া না হলে, এই নদীর মৎস্য প্রজননক্ষেত্র রক্ষাই কঠিন হবে।
দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদী। যেখানে প্রতিবছর এপ্রিল-মে মাসে ডিম ছাড়ে মা মাছ। যা সংগ্রহের পর তৈরি করা হয় রেণু। তবে ধীরে ধীরে কমছে রেণু উৎপাদনও। কেননা, এখন হুমকির মুখে মা মাছের ডিম ছাড়া। পরিসংখ্যান বলছে, গেলো দশ বছরে প্রায় দেড় লাখ কেজি রেনু উৎপাদন হয় হালদার ডিম থেকে। সবচেয়ে বেশি সাড়ে ৩২ হাজার কেজি রেনু হয় ২০০৬ সালে আর গেলো বছর তার পরিমান নেমে আসে ১ হাজার কেজিতে।
হালদা নদীর সংকট নিয়ে আয়োজিত আলোচনায়ও বলা হয়, স্মরণকালের মধ্যে এবারই প্রথম ডিম ছাড়েনি মা মাছ। সংশ্লিষ্টরা জানান, বিভিন্ন এলাকার ৩৬টি খাল থেকে আসা বিষাক্ত বর্জ্য, নদী তীরে তামাক চাষ, উজানে রাবার ড্যাম তৈরি, ড্রেজারে বালি উত্তোলনসহ নানা কারণে সংকটাপন্ন এ নদী।হালদার এ দূষণ রোধে তেমন কোন উদ্যোগ নেই প্রশাসনের। নেই কোন তদারকিও। হালদা রক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রকল্প গ্রহন করা হলেও তাতে সমন্বয়হীনতার অভিযোগও করেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় হালদাকে জাতীয় নদী ঘোষণার দাবিও উঠে আসে এই অনুষ্ঠানে।
কৃপ্র/এম ইসলাম/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম