কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : সীমান্তপথে আসা গরুর নিলাম বা শুল্ক মূল্য না বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চোরাচালান নিরোধ টাস্কফোর্সের সভায় সীমান্তপথে আসা গরুর দাম বাড়ানোর পক্ষে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা যুক্তি তুলে ধরলেও সার্বিক বিবেচনায় এটি আপাতত বাড়ানো ঠিক হবে না বলে মনে করছে এনবিআর। খবর ইত্তেফাক অনলাইনের ।
গত সোমবর অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে চোরাচালান নিরোধ কার্যক্রমকে গতিশীল ও কার্যকর করতে ১১ টি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে পুনর্গঠিত চোরাচালান কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স। এনবিআর চেয়ারম্যান এবং পুনর্গঠিত চোরাচালান নিরোধ কেন্দ্রীয় টাস্কফোর্স এর সভাপতি নজিবুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে চোরাচালান নিরোধে টাস্কফোর্স পুর্নগঠন করা হয়।
বর্তমানে প্রতিবেশী ভারত থেকেই বেশিরভাগ গরু সীমান্তপথে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। স্থানীয় শুল্ক কর্তৃপক্ষ এসব গরু নিলামে ৫শ’ টাকা শুল্ক মূল্য ধার্য করে বিক্রি করে থাকে। বৈঠকে উপস্থিত রাজশাহী অঞ্চলের প্রতিনিধি বলেন, বর্তমানে গরু প্রতি মাত্র ৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অবৈধ গরুর আমদানি রোধ ও রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে এই জরিমানা বৃদ্ধি করার বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বৈঠক শেষে টাস্কফোর্সের সদস্য সচিব ও শুল্ক গোয়েন্দার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান ইত্তেফাককে বলেন, গরুর মূল্য বাড়ানোর বিষয়ে একটি প্রস্তাব আসলে এনবিআর তা যাচাই-বাছাই করেছে। এনবিআর মনে করছে, গরুর শুল্ক মূল্য এখনই বাড়ানো ঠিক হবে না। কেননা বর্ধিত শুল্ক সাধারণ মানুষের উপর পড়বে। এছাড়া কোরবানিকে কেন্দ্র করে সাধারণ ও ধর্মপ্রাণ মানুষের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে এ খাত থেকে যে রাজস্ব পাওয়া যায়, তা মোট রাজস্বের হিসাবে খুবই নগণ্য।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চেরাচালান রোধে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৮ থেকে ১০টি কার্যক্রম নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। বাংলাবান্ধা স্থল বন্দরে সোনালী ব্যাংকের শাখা খোলার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্ণর বরাবর পত্র প্রেরণ এবং করিডোরের মাধ্যমে আমদানিকৃত গরুর জরিমানা পুননির্ধারনের বিষয়টি পুনরায় পরিদর্শন। টাস্কফোর্সে সদস্য সচিব ও শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান সভার মূল বিষয়বস্তু উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, টাস্কফোর্সের প্রথম সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের বিষয়ে ইতিমধ্যে টাস্কফোর্সের অন্তর্ভুক্ত সংস্থাসমূহ কাজ করে যাচ্ছে। গৃহীত কার্যক্রম ও চোরাচালান দমন বিষয়ে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন। সভায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড, পুলিশ সদর দপ্তর, মাদকদব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, র্যাব, এনএসআই, ডিজিএফআই, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এফবিসিসিআই, বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রেলওয়ে, বাংলাদেশ পুলিশ (রেলওয়ে রেঞ্জ), শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের প্রধান ও প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/এম ইসলাম