কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশনের উদ্যোগে ‘চুং-হুয়া ৪০তম জাতীয় নৌকাবাইচ ২০১৬’ অনুষ্ঠিত হয়েছে । শনিবার দুপুরে এটি শুরু হয় । পাগলা ঘাট থেকে শুরু হয়ে পোস্তগোলা এলাকায় বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুসংলগ্ন আর ই ব্যাটালিয়ন জেটির সামনে বাইচ শেষ হয়। নৌকাবাইচ উপভোগ করতে আসা লোকজন বুড়িগঙ্গা দূষণমুক্ত রাখার দাবি জানান।
বুড়িগঙ্গায় নৌকাবাইচ দেখতে কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ, মিরেরবাগ ও দোলেশ্বর; পোস্তগোলা, আলীনগর, শ্যামপুর এলাকাসহ দূরদূরান্ত থেকে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ জড়ো হয় বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়ে। বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর ওপরে ছিল কয়েক হাজার নারী-পুরুষ, শিশুসহ নানান বয়সের মানুষের সমাবেশ। এ ছাড়া অনেকে বাইচ দেখতে বুড়িগঙ্গায় ছোট-বড় ট্রলার, ইঞ্জিন নৌকায় উঠে পড়েন।
এবারের জাতীয় নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় ৭ মাঝির পুরুষ, ৭ মাঝির নারী, ২৫ মাঝির কোষা নৌকা, ৫০ মাঝির সারেঙ্গী নৌকা, ৫০ মাঝির বাচারী নৌকাসহ অর্ধশতাধিক নৌকা অংশ নেয়। নৌকাবাইচের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুং-হুয়া অ্যালুমিনিয়াম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এ কে এম আফজানুল মুনীর।
আরিফ খান জয় বলেন, ‘বুড়িগঙ্গা নদীর দুই পারের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ এই নৌকাবাইচ উপভোগ করেছে। বিনোদনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বুড়িগঙ্গাকে আমরা রঙিন রাখতে চাই।’
নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায় ৭ মাঝির নারী দলে প্রথম হয় আনসার-ভিডিপির মালেকার দল, দ্বিতীয় আনসার-ভিডিপির রায়হান ফকিরের দল, তৃতীয় আলীনগর রোইং ক্লাবের আজমেরী দল। পুরুষ ৭ মাঝির দলে প্রথম বাংলাদেশ ভিডিপি দল, দ্বিতীয় নড়াইল ক্রীড়া সংস্থা, তৃতীয় আলীনগর রোইং ক্লাব।
কোষা ২৫ মাঝির দলে প্রথম রূপগঞ্জের মফিজুল ইসলামের দল, দ্বিতীয় মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরের আনজার আলীর দল, তৃতীয় মুন্সিগঞ্জের মিনহাজের দল। সারেঙ্গী ৫০ মাঝি নৌকায় প্রথম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুক্তার ভূঁইয়ার দল, দ্বিতীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওসমান উল্লাহর দল, তৃতীয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ফুল ইসলামের দল। বাচারী ৫০ মাঝি নৌকায় প্রথম হয় গোপালগঞ্জের বিমল বাঈনের দল, দ্বিতীয় মাদারীপুরের সুখ দেবের দল এবং তৃতীয় হয় গোপালগঞ্জের মিহির মজুমদারের দল।
কৃপ্র/ কে আহমেদ