কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : পিরোজপুরে চলতি বর্ষা মৌসুমে অতি বর্ষণে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র প্রান্তিক কৃষকদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চলতি অর্থ বছরে জেলার ৭ উপজেলার ৫১টি ইউনিয়ন ও ৪টি পৌর এলাকার ১ হাজার ৬শত জন কৃষক ভুট্টা, মুগ ও খেসারী ডাল চাষের জন্য এই প্রণোদনা সহায়তা পাচ্ছে। খবর বাসসের ।
ইতিমধ্যেই কৃষকদের জন্য ১৫ লাখ ৬৬ হাজার ৯শ’ টাকার বরাদ্দপত্র প্রদান করেছে এবং জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তার কার্যালয় চাষিদের তালিকা চুড়ান্ত করছে। ভুট্টা চাষের জন্য ৬৭ হেক্টরের ৫শ’ চাষির প্রত্যেককে ১ হাজার ২শ’ ৯০ টাকা মূল্যের সার, বীজ বিনামূল্যে প্রদান করা হবে। ৪শ’ ৮০ মেঃ টন ভুট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সদর উপজেলার ৮০জন জিয়ানগরের ২৫ জন, কাউখালীর ৪৫ জন, নেছারাবাদের ৬০ জন, নাজিরপুরের ১২০ জন, ভান্ডারিয়ার ৬০ এবং মঠবাড়িয়ার ১১০ জন চাষিকে প্রণোদনা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ৬৭ হেক্টরের ৭০ মে. টন মুগ ডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা পূরনে সদরে ৯০, জিয়ানগরে ৩০, কাউখালীতে ৪০, নেছারাবাদে ৫০, নাজিরপুরে ১১০, ভান্ডারিয়ায় ৬০ এবং মঠবাড়িয়ায় ১২০ জন চাষি পাচ্ছে ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার। ৮০ হেক্টরে ৮৩ মেঃটন খেসারী ডাল চাষের জন্য ৮ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার পাচ্ছে সদর উপজেলার ১শ’, জিয়ানগরে ৩৫, কাউখালীর ৫০, নেছারবাদের ৬০ নাজিপুরের ১২০, ভান্ডারিয়ার ৭০ এবং মঠবাড়িয়ার ১৬৫জন কৃষক।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, পিরোজপুর এর উপ পরিচালকের কার্যলয়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অরুন রায় জানান , সরকারের এ প্রণোদনা সহায়তায় চাষিদের মাঝে ভুট্টা, মুগ এবং খেসারী চাষের আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে এবং ভুট্টা, মুগ ও খেসারীর উৎপাদন যথেষ্ট পরিমাণে এ জেলায় বৃদ্ধি পাবে।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম