কৃষি প্রতিক্ষণ বগুড়া : জেলার ধুনট উপজেলার হাটগুলোতে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়ের সময় ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কাছ থেকে ইজারাদারেরা অতিরিক্ত টোল আদায় করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি না থাকায় এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন । কয়েকটি পশুর হাট ঘুরে ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ধুনট উপজেলা সদর, সোনামোয়া, নান্দিয়ারপাড়া, গোসাইবাড়ী ও মথুরাপুর—এ পাঁচটি সরকারি ইজারাভুক্ত হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয় চলছে। এরই মধ্যে হাটগুলোতে কোরবানির পশু বেচা-কেনা জমে উঠেছে।
সরকারি নির্দেশনা রয়েছে, প্রতিটি গরুর ক্রেতার কাছ থেকে ২০০ ও খাসির ক্রেতার কাছ থেকে ৭৫ টাকা টোল আদায় করা যাবে। কিন্তু হাটের ইজারাদারেরা এই নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রত্যেক গরুর ক্রেতার কাছ থেকে ৪০০ ও বিক্রয়কারীর কাছ থেকে ২০০ টাকা আর খাসির ক্রেতার কাছ থেকে ২০০ ও বিক্রেতার কাছ থেকে ১০০ টাকা করে টোল আদায় করছেন। বাড়তি মূল্যের জন্য টোল আদায়ের রশিদে কিছু বলাও হচ্ছে না।
কালেরপাড়া ইউনিয়নের ঈশ্বরঘাট গ্রামের দুলু মিয়া ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে সোনামোয়া হাট থেকে একটি গরু কিনেছেন। তিনি জানান, ইজারাদার তাঁর কাছ থেকে ৩৫০ এবং বিক্রেতা বেলাল হোসেনের কাছ থেকে ২০০ টাকা আদায় করেছেন।
গোসাইবাড়ী হাট থেকে নাটাবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেন ৫ হাজার টাকা দিয়ে একটি খাসি কিনেছেন। তিনি জানান, টোল হিসেবে তাঁর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ২০০ টাকা। হাটের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ঈদ সেলামির নামে আরও নেওয়া হয়েছে ২০ টাকা।
সোনামোয়া হাটের ইজারাদার জি এম ফিরোজ বলেন, ঈদ উপলক্ষে হাটে অতিরিক্ত পশু আমদানি হয়। এগুলো দেখভালের জায়গা ও জনবল বাড়াতে হয়েছে। এ ছাড়াও রোদবৃষ্টির জন্য শামিয়ানা টানাতে হয়েছে। এসব ব্যবস্থা করতে গিয়ে সরকার-নির্ধারিত টোলের চাইতে একটু বেশিই আদায় করা হচ্ছে। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতারা যতটা অভিযোগ করছেন, তা ঠিক না।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মাদ ইব্রাহীম বলেন, প্রতিটি হাটে টোলের সরকার-নির্ধারিত মূল্য সাইনবোর্ডে টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত টোল আদায়ের বিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পানি । অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি ।
কৃপ্র/ ফিরোজ/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম