কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্ট : কোরবানির ঈদ মানেই চারিদিকে গরুর মাংসের ছড়াছড়ি। কিছু মানুষ আছেন যারা অ্যালার্জির জন্য খেতে পারেন না মজাদার এই খাবার। তারা কী করবেন? জেনে নিন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার আয়েশা নূরের পরামর্শ।
গরুর মাংস খাওয়ার ফলে কী ধরণের অ্যালার্জি হতে পারে? ত্বকে মৃদু থেকে ভীষণ রকমের চুলকানি হতে পারে, হাত-পা ফুলে যেতে পারে, শ্বাসকষ্টও হতে পারে। একেক জনের ক্ষেত্রে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া একেক রকম হতে দেখা যায় বলে জানান তিনি।
ডাক্তার নূর জানান, কারও যদি আগে থেকেই জানা থাকে যে তার গরুর মাংসে অ্যালার্জি আছে তবে তার গরুর মাংস না খাওয়াই সবচাইতে ভালো সিদ্ধান্ত। খাসি বা ছাগলের মাংসে সাধারণত অ্যালার্জি হতে দেখা যায় না। সুতরাং গরুর বদলে খাসি/ছাগল, ভেড়া, দুম্বা এসবের মাংস খেতে পারেন।
কেউ যদি মনে করেন তিনি গরুর মাংস খাবেনই, তা যতই অ্যালার্জি হোক না কেন, সেক্ষেত্রেও একটি উপায় বলে দেন ডাক্তার নূর। কেউ যদি ঠিক করে ফেলেন অ্যালার্জি থাকা সত্ত্বেও তিনি কোরবানির সময়ে গরুর মাংস খাবেন তবে এক সপ্তাহ বা ১৫ দিন আগে থেকেই তাকে প্রস্তুতি নিতে হবে। এই এক সপ্তাহ বা ১৫ দিন ধরে প্রতিদিন রাত্রে তাকে একটি করে অ্যান্টি-হিস্টামিন অসুধ খেতে হবে। ডাক্তার নূরের মতে, এই সাবধানতা অবলম্বন করলে যাদের অ্যালার্জি কম তাদের লাভ হতে পারে। কিন্তু যাদের অ্যালার্জির সমস্যাটা বেশি তাদের ক্ষেত্রে এটা খুব একটা কার্যকর হবে না। তাদের ক্ষেত্রে গরুর মাংস এড়িয়ে চলাটাই ভালো।
কারও যদি ঈদের সময়ে গরুর মাংস খেয়ে দেখা যায় অ্যালার্জির সমস্যা দেখা দিয়েছে অথচ আগে কখনো এই সমস্যা ছিলো না, তবে প্রথমেই তাকে গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। এরপর খেতে হবে অ্যান্টি-হিস্টামিন ওষুধ। অল্প অ্যালার্জি হয়ে থাকলে অবশ্য একটু বরফ দিলেও অনেক সময়ে কমে যায়। গরুর মাংস ছাড়া অন্য কোনো খাবারেও অ্যালার্জি হয়ে থাকতে পারে। সেই খাবারটি চিহ্নিত করে তা খাওয়া বন্ধ রাখতে হবে। আর কারও পরিস্থিতি যদি বেশি খারাপ হয়ে যায়, যেমন গরুর মাংস খাওয়া বন্ধ করে এবং ওষুধ খাওয়ার পরেও লাভ হচ্ছে না, অথবা এতোই অসুস্থ হয়ে গেছেন যে ওষুধ খেতে পারছেন না তবে অবশ্যই হাসপাতালে নেওয়া উচিত তাকে। সাধারণত ইনজেকশন দিয়ে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া কমানো হয়। এছাড়া কী কী করতে হবে সে পরিস্থিতিতে ডাক্তারই ভালো বুঝবেন। সুতরাং গরুর মাংসে অ্যালার্জি হলে তাকে সাধারন মনে করে উড়িয়ে দেবার কোনো কারণ নেই।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম