কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গাধা রপ্তানি নিষিদ্ধ করেছে নাইজার। এই খাতে দেশটির বাণিজ্য তিনগুণ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রেক্ষাপটে দেশটি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। খবর বিবিসির। খবরে বলা হয়, গাধার সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ার কারণেই নাইজারের সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আগস্ট মাসেই নাইজারের প্রতিবেশি রাষ্ট্র বুরকিনা ফাসো গাধার চামড়া রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। প্রাণীটির অস্থিত্ব ঝুঁকির মুখে পড়ায় দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
নাইজারের প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, “চলতি বছর এরই মাঝে ৮০ হাজার গাধা রপ্তানি করা হয়েছে, গেল বছর এই সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার।” দেশটির একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, “যদি রপ্তানি অব্যাহত থাকে তবে এই প্রাণীটি ধ্বংস হয়ে যাবে।” নাইজার সরকার দেশে কোনো গাধা জবাই নিষিদ্ধ করেছে। গাধা বাণিজ্য অত্যন্ত লাভজনক হয়ে ওঠায় প্রাণী পালনকারীরা অন্যান্য সব প্রাণী বাদ দিয়ে গাধা বাণিজ্যে ঝুঁকে পড়ছেন। সাধারণত এশিয়ার দেশগুলোতে গাধা রপ্তানি করা হয়। চীন মূলত গাধার চামড়া আমদারি করে থাকে। আঠা, শক্তিবর্ধক ওষুধ, যৌন ইচ্ছা বৃদ্ধির ওষুধ, বয়সরোধী ক্রিম ও অন্যান্য ওষুধে এই প্রাণীটির চামড়া দেশটি ব্যবহার করে থাকে।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম