কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সরকার রংপুর অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচটি জেলায় কৃষি পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ৬৯ হাজার ৯৬ জন কৃষকের মধ্যে ৭ কোটি টাকা মূল্যের বিভিন্ন ফসলের বীজ ও সার বিতরণ করেছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সুবিধাভোগী কৃষকরা ইতোমধ্যেই বন্যা পরবর্তীতে আমন চাষ এবং আগাম রবি চাষ করেছেন।
বন্যাত্তোর কৃষি পুনর্বাসান কর্মসূচির আওতায় সরকার এই অঞ্চলে এক হাজার ১৪৬ জন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের মধ্যে ৭ লাখ ৬৪ হাজার টাকা মূল্যের আমন বীজ এবং ৫ হাজার ৩’শত কৃষকের মধ্যে ১৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা মূল্যের ৪২ হাজার ৪ শত প্যাকেট সবজি বীজ বিতরণ করেছে।
কর্মসূচির অধীনে অঞ্চলে আগাম শাক-সবজি, গম, ভূট্টা, মসুর ডাল,মাসকলাই, মুগডাল চাষের জন্য কৃষকদেরকে বিনামূল্যে ডাই অ্যামোনিয়াম ফসফেট (ডিএপি) এবং মিউরিয়াট অব পটাস (এমওপি) দেয়া হয়েছে।
সরকার এই অঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২ হাজার কৃষকের প্রত্যেককে ২ কেজি করে ১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা মূল্যের ৪৪ টন ভূট্টা বীজ দিয়েছে এবং ১২ হাজার এক শত কৃষকের প্রত্যেককে এক কেজি করে সরিষার বীজ দিয়েছে।
কর্মসূচির আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলায় আড়াই হাজার কৃষকের মধ্যে সাড়ে সাত লাখ টাকা মূল্যের ১২.৫০ টন মুগডাল বীজ বিতরণ করেছে।
রংপুর, কুড়িগ্রাম,লালমনিরহাট এবং গাইবান্ধা জেলায় রবি শষ্য চাষের জন্য প্রত্যেক কৃষককে ৫ কেজি করে ২৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের ৩২ টন মাষকলাই বীজ দিয়েছে। পাশাপাশি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৫০ জন কৃষকের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে এক লাখ ২৯ হাজার টাকা মূল্যের ১ দশমিক ৫০ টন বাদাম বীজ দেয়া হয়েছে এবং কুিড়গ্রাম জেলায় এ ফসল চাষের জন্য ৫’শ কৃষকের প্রত্যেককে ৫ কেজি করে ২২ হাজার টাকা মূল্যের ৫’শ কেজি তিল বীজ দেয়া হয়েছে।
এ কর্মসূচির অধীন সুবিধা ভোগী প্রত্যেক কৃষক প্রতি এক বিঘা জমিতে গম, ভূট্টা, সরিষা, এবং তিল চাষের জন্য ৪৬০ টাকা মূল্যের ২০ কেজি ডিএপি সার এবং ১৩০ টাকা মূল্যের ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন। পাশাপাশি প্রত্যেক কৃষক প্রতি বিঘা জমিতে মুগডাল চাষের জন্য ২৩০ টাকা মূল্যের ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমওপি সার এবং বাদাম ও মাষকলাই চাষের জন্য প্রতি বিঘা জমিতে ৬৫ টাকা মূল্যের ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন।
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে অঞ্চলের রংপুর জেলার ১২ হাজার ৪১০ জন কৃষক, গাইবান্ধার ১৫ হাজার ৫৮০ জন কৃষক, কুড়িগ্রামের ১৯ হাজার ৯৬৮ জন কৃষক, লালমনিরহাটের ১০,৬৩৮ জন কৃষক এবং নীলফামারির ১০ হাজার ৫শ কৃষক বন্যা পরবর্তী সরকারি কৃষি সহায়তা পেয়েছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহ্ আলম জানান, সুবিধা ভোগী চাষিরা ইতোমধ্যেই প্রত্যেককে এক বিঘা করে জমিতে আগাম রবি শষ্য চাষ করেছেন এবং আমন বীজ রোপণ সম্পন্ন করেছেন।
কৃপ্র/ এম ইসলাম