কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল আজহার আগে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ মসলার খুচরা মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, ঈদে মসলার চাহিদা অনেক বেশি থাকায় দামও বেড়ে যায়। তবে গত বছরের মতো এ বছরও পেঁয়াজসহ অন্যান্য ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা কম। সপ্তাহের শেষ দিন শুক্রবারও পেঁয়াজের দাম কম ছিলো।
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর সূত্র অনুযায়ী এ সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫ টাকা থেকে ৪২ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে, গত সপ্তাহে যা ৩৫ টাকা কেজির কম ছিলো না। টিসিবি’র সর্বশেষ বাজার তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, বাজারে আদা, রসুন, জিরা, দারুচিনি ও এলাচির দাম বাড়তির দিকে। এই ঈদে মসলার খুব দরকার বলে মানুষ এসব মসলা ক্রয় করছেন। তবে এবার বাজারে লবঙ্গ ও হলুদের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাইকারি দামে আদা প্রতি কেজি ১১০ টাকা ও রসুন ১৬৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে, যা খুচরা বাজারে ছিলো যথাক্রমে ১৪০ টাকা ও ১৭০ টাকারও বেশি। এই মাসের শুরুতেও প্রতি কেজি আদার খুচরা মূল্য ছিলো ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর রসুন বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে। আদার উচ্চ মূল্য প্রসঙ্গে মসলা আমদানিকারক ফারুক আহমেদ জানান, এ বছর তারা ঈদের অধিক চাহিদা মেটাতে আদা আমদানি করতে পারেননি।
তিনি জানান, এ বছর ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের আদার উৎপাদন কম হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে আদার মূল্য অনেক বেশি ছিলো। এদিকে গত মাসে চারুচিনির গড় মূল্য ২৮০ টাকা কেজি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩৫০ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে এলাচের দামও বেড়ে ১ হাজার ৬শ’ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম