কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার কৃষকরা বিকল্প পদ্ধতিতে ভাসমান ধাপে সবজি ও মসলা চাষে দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কৃষকরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এ পদ্ধতিতে সবজি চাষে সফলতার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের মুখ দেখছেন।
উপজেলার রাখিলাবাড়ি, বেলেডাঙ্গা, বন্যাবাড়ি মিত্রডাঙ্গা, জোয়ারিয়া, পাথরঘাটা, চাপরাইল, গোপালপুর, রুপাহাটিসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকরা বর্ষা মৌসুমে ব্যাপকহারে ভাসমান ধাপে মসলা ও সবজি চাষ করছেন।
বন্যাবাড়ি গ্রামের কৃষক বরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, রবিন দাস, হরেন্দ্রনাথ বসু, জোয়ারিয়া গ্রামের নরোত্তম বালা ও অনিমেষ চন্দ্র সরকার বলেন, উপজেলার বিশাল অঞ্চল বর্ষা মৌমুমে পাঁচ-ছয় ফুট পানিতে ডুবে থাকে। এজন্য স্বাভাবিক চাষাবাদ সম্ভব হয় না। এ সময় তাদের হাতে কোনো কাজও থাকে না। পানির উপরে কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান বেড তৈরি করে সবজি ও মসলা চাষ করে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি।
উপজেলায় এখানে প্রায় এক হাজার কৃষক পরিবার প্রত্যক্ষভাবে ভাসমান পদ্ধতিতে সবজি ও মসলা চাষে জড়িত। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, এ বছর ৬০-৭০ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রায় পাঁচ হাজার ভাসমান ধাপ তৈরি হয়েছে।
জোয়ারিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার বিদ্যুত্ কুমার মন্ডল বলেন, আমি এই ব্লকে অনেকদিন যাবত্ কাজ করছি। এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করে স্থানীয় কৃষকরা বিকল্প কর্মসংস্থান যেমন তৈরি করতে পেরেছে, তেমনি এলাকায় সবজি চাষের পরিমাণও বেড়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার ড. এইচএম মনিরুজ্জামান বলেন, উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকার জমি পানিতে ডুবে থাকলেও এখন আর অনাবাদি থাকে না। এসব জমিতে কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান ধাপ তৈরি করে সেখানে সবজি ও মসলা চাষ করছে। এখন তাদের আর বেকার থাকতে হচ্ছে না।
সুত্রঃ ইত্তেফাক, কৃপ্র/ এম ইসলাম