কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ কোরবানীর আগ মুহুর্তে মিয়ানমার থেকে পশু আমদানী হচ্ছে। আমদানী হওয়া পশুর মধ্যে বেশিরভাগই গরু। শুক্রবার পর্যন্ত টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ক্যাটল করিডোর দিয়ে মিয়ানমার থেকে এক হাজার ৭৭১টি পশু আমদানী হয়েছে। এর মধ্যে গরু আমদানী হয়েছে এক হাজার ৫০৬টি। তাছাড়া ২৩৯টি মহিষ ও ১৬টি ছাগল আমদানী হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার একদিনে ৬৮১টি পশু আমদানী হয়েছে। আগস্ট মাসে এ করিডোর দিয়ে মোট গবাদি পশু আমদানী হয়েছিল ২৫৪৭ টি। এর বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১২ লাখ ৭০ হাজার ২০০ টাকা। বৈরী আবহাওয়া ও দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেনা-পাওনা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বেশ কিছুদিন এ করিডোর দিয়ে গবাদি পশু আমদানী অনেকটা বন্ধ ছিল।
শাহপরীর দ্বীপ করিডোরের পশু আমদানীকারক শহিদুল ইসলাম জানান, গত এক সপ্তাহে প্রায় দেড় হাজার পশু আমদানী করেছেন তিনি। এভাবে পশু আমদানী অব্যাহত থাকলে কোরবানীর আগে শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে আরও ১০ হাজারের মতো পশু আমদানী হতে পারে।
এদিকে টেকনাফের সর্ববৃহৎ কোরবানীর পশুর হাট টেকনাফ পৌরসভার পাইলট হাইস্কুল মাঠে গিয়ে দেখা গেছে, মিয়ানমার থেকে পশু আমদানী হলেও দাম অনেক বেশি। অলিয়াবাদ এলাকার সৈয়দ মিয়া জানান, কোরবানীর পশুর দাম গত বছরের তুলনায় বেশি।
উখিয়া উপজেলার বালুখালী এলাকা থেকে আসা সাজেদুর রহমান জানান, ‘টেকনাফ বাজারে মিয়ানমারের গরুর দাম কম- এই খবর শুনে কোরবানীর গরু কিনতে এসেছি। কিন্তু এসে দেখি দাম অনেক বেশি।’ তিনি জানান, মাঝারী সাইজের এক একটা গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ৮০ থেকে ১ লাখ। অথচ এই সাইজের গরু আগে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় পাওয়া যেত। গরু ব্যবসায়ী ফোরকার আলী বলেন, মিয়ানমার থেকে যেভাবে পশু আসছে তা অব্যাহত থাকলে দাম আরেকটু কমতে কমবে।
সুত্রঃ যুগান্তর/ কৃপ্র/ এম ইসলাম