কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ আনন্দের বারতা নিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা হাজির হলেও ঈদ নেই সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরের হাজারও পরিবারে। নদী ভাঙন, বন্যা ও টর্নোডোয় ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের লোকজন নিজ বাড়ি ছেড়ে আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি ও ওয়াপদা বাঁধে খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানার খুকনী ইউনিয়নের আরকান্দি, রুপসী, সালদার বিল, বিশ্বনাথপুর, কাইজা ও জালালপুর ইউনিয়নের ঘাটাবাড়ি, বাঐখোলা, জালালপুর, সড়াতৈলসহ বেলতৈল ইউপি নসনাপাড়া এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় এক হাজার পরিবার এবার পশু কোরবানি দিতে পারবে না।
খুকনী ইউনিয়নের টর্নোডোয় ক্ষতিগ্রস্ত আড়কান্দি চরের কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, তাদের গোলায় ছিল ধান, গোয়ালে ছিল গবাদি পশু। কিন্তু ২১ আগস্টের ৪০ সেকেন্ড স্থায়ী টর্নেডোয় তাদের সব কিছু চোখের সামনেই লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে।
সব হারিয়ে এখন অন্যের বাড়ি থেকে ধার করে টিন দিয়ে ছাপড়া তুলে কোনো রকম জীবন-যাপন করছে এসব পরিবার। অনেকেই কাগজ টাঙিয়ে খোলা আকাশের নিচে বৃদ্ধ মা-বাবাসহ শিশু সন্তানদের নিয়ে মানবতের জীবন যাপন করছেন।
এদিকে ব্রাহ্মণগ্রামের যমুনা নদীতে বসত-ভিটা হারোনো মুকুল হোসেন জানান, এবারের বন্যায় যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ের পাঁচ কিমি. এলাকার অন্তত দেড় শতাধিক ঘর-বাড়ি নদীতে চলে গেছে। এদের নতুন বাড়ি করার মত কোনো সম্বল নেই। এদের অধিকাংশই অন্যের বাড়িতে অথবা ওয়াপদা বাধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
তারা জানান, অন্যান্য বছর কোরবানির ঈদ এলে গবাদি পশু কোরবানি দিতে বাড়ির ছোট বড় সবাই উৎসাহের সঙ্গে হাট থেকে পশু কিনে আনা হতো। ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি করতাম। কিন্তু এবার সব কিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আহম্মেদ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের ইতিমধ্যেই দেড় লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ কার্ডের অধিকাংশই নদী ভাঙন, বন্যা ও টর্নোডোয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে বিতরণে জনপ্রতিনিধিদের বলা হয়েছে। তিনি বলেন, টর্নোডোয় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য ঈদের পর সরকারীভাবে টিন বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। টিন পেলে তা বিতরণ করা হবে।
সুত্রঃ যুগান্তর
কৃপ্র/ এম ইসলাম