কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো খামার পর্যায়ে লালন পালন চলছে ‘ব্রাহমা’ জাতের গরু। এই গরুর মাংস হবে ২৫ থেকে ৩০ মণ, যা আমাদের দেশের প্রচলিত গরুর চেয়ে ২০ মণ বেশি মাংস হবে।
‘ব্রাহমা’র আদি নিবাস ভারতীয় উপমহাদেশই। আমেরিকার বিজ্ঞানীরা এই জাতটি উন্নয়ন করেন, তাই কোথাও কোথাও এর পরিচিতি ‘আমেরিকান ব্রাহমান’ হিসেবে। বাংলাদেশের ২০০৮ সালে পরীক্ষামূলক এই জাতটি নিয়ে আসেন বিজ্ঞানীরা।
ওই বীজের ষাঁড়ই এখন ভূমিকা রাখছেন জাতটির সম্প্রসারণে। ২০১৪-১৫ সালে দেশের ৩৮ জেলার ৮০উপজেলার ১৩০ জন বাছাই করা খামারির ২৬০টি গাভীকে দেয়া হয় ‘ব্রাহমা’ জাতের সিমেন।
বীফ ক্যাটেল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক এস এম এ সামাদ বলেন, আমাদের তিন হাজারের অধিক বাচ্চা চলে আসছে এবং পঁচিশ হাজার ‘ব্রাহমা’র’ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় ছয় মাসে একটি বাচ্চা ওজন আসছে ১’শ ৮৩ কেজি। ওই বীজে জন্ম নেয়া ষাঁড়গুলোর এখন বয়স পনের থেকে আঠারো মাসের মধ্যে।
“এই বয়সে দেশী ষাঁড়ের ওজন যেখানে হয় সর্বোচ্চ ৮০ কেজি বা ২ মণ, সেখানে খামার পর্যায়ে ‘ব্রাহমা’ জাতের এই গরুর ওজন পৌঁছেছে ৪’শ ৪০ থেকে ৪’৬০ কেজি। যা খামারিদের কাছে এক বিস্ময়।”
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মাধ্যমে দ্রুত এগিয়ে চলছে জাতটির সম্প্রসারণ। টাঙ্গাইল সখিপুর ভেটেরিনারি সার্জন শফিকুল ইসলাম মানিক জানান, আমরা প্রায় ৩’শ সিমেন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের আশা, আগামী বছরেই দেশের কোরবানির বাজারে ওজনদার ষাঁড় হিসেবে সাড়া ফেলবে ‘ব্রাহমা’।
সুত্রঃ চ্যানেল আই অনলাইন/ কৃপ্র/ এম ইসলাম