কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ চারদিকে ঈদের আমেজ বিরাজ করলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে আছে লালমনিহাটের তিস্তা ধরলা বিধৌত ৬৩ টি চরের অসহায় মানুষের ভাগ্যে। নদীর মাঝখানে জেগে উঠা এসব চরবাসীর কপালে ঈদের আগেও জোটেনি কোন সাহায্য সহযোগিতা। সরকারের পক্ষ থেকে ২০ কেজি করে ভিজিএফ বরাদ্দ দেওয়া হলেও তাদের অধিকাংশ সে চাল পাননি। খবর বাংলাদেশ প্রতিদিন।
নদীপাড়ে প্রতি মুহুর্তেই ভেসে উঠছে ছিন্নমূল এসব মানুষের কান্না। ঈদ যেন তাদের কাছে শুধুই স্মৃতি। ঈদের দিন চরগুলোতে সরেজমিনে ঘুরে জানা গেছে, চতুর্থ দফায় উজানের ঢলে তিস্তা ও ধরলার অনেক চরেই বসতিদের বাড়িতে হাটু পানি। তার উপর রাত থেকে বেড়েছে ভাঙ্গনের তীব্রতা। তাই ভাঙন কবলিত এসব এলাকার অধিকাংশ মানুষ ঈদের নামাজ পড়তে মাঠে যেতে পারেনি।
কুলাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস আলী জানান, চরের অভাবী মানুষগুলোর কিছু অংশ হাটু পানিতে ঈদের নামাজ পড়তে পারলেও অনেকেই তা পারেননি। ঈদ তাদের নেই বললেই চলে। সরকারি ভাবে যে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে তাদের ঈদ হতে পারে না। তাছাড়া ভাঙ্গাগড়া আর পানিবন্দি হয়ে থাকা ছিন্নমূল এসব মানুষের জীবন দুঃখকষ্টে একাকার।
কৃপ্র/ এম ইসলাম