কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : ঈদের পর বগুড়ার পাইকারি বাজারগুলোতে সবজি বিক্রি হচ্ছে পানির দরে। কৃষকদের দাবি, এতে তাদের পরিবহন খরচই উঠছে না। অথচ মাত্র ১২ কিলোমিটার দূরে বগুড়া শহরের খুচরা বাজারে একই সবজি বিক্রি হচ্ছে তিন থেকে চারগুণ বেশি দামে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, পরিবহন সঙ্কট আর ঘাটে ঘাটে টোল ও চাঁদাবাজির কারণে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পরছে ।
শনিবার বগুড়ার সবচেয়ে বড় সবজির পাইকারি বাজার মহাস্থানে চিচিঙ্গা, পটল, বেগুন মূলা, লাউ ও চাল কুমড়া নিয়ে আসেন শতশত কৃষক। কিন্তু ক্রেতা নেই, আবার যারা আছেন তারাও ন্যূনতম দাম দিতে নারাজ। কৃষকদের অভিযোগ ১ টাকা কেজি দরে চিচিঙ্গা বিক্রি করতে হয়েছে। শুধু চিচিঙ্গাই নয় সব সবজি পানির দরে বিক্রি করতে হয়েছে। এতে সবজির দামতো দূরের কথা পরিবহনের ভ্যানভাড়াই উঠছে না তাদের।
মহাস্থানের পাইকারি সবজি বাজারের সাথে বগুড়া শহরের খুচরা বাজারের দামের আকাশ পাতাল পার্থক্য। আর ক্রেতারা বাধ্য হয়েই বেশি দামেই কিনছেন সবজি। জেলার ব্যবসায়ী নেতা বলছেন, অতিরিক্ত টোল ও চাঁদাবাজি এবং ঈদের পর পরিবহন পুরোপুরি চালু না হওয়ায় পাইকারি ও খুচরা বাজারের মধ্যে দামের পার্থক্য বেশি।
জেলার দুটি বড় সবজির পাইকারি বাজার মহাস্থান ও সুলতানগঞ্জে প্রতি কেজি চিচিংগা ১ থেকে ২ টাকা, করলা ৭ টাকা, বেগুন ১৫ টাকা, চাল কুমড়ার ১০ থেকে ১২ টাকা, লাউ ৫ থেকে ৬ টাকা ও মূলা ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম