কৃষি প্রতিক্ষণ রিপোর্ট : রাজশাহী নগরীর সাড়ে ৪ লাখ মানুষের বর্জ্যের সাথে ছোট-বড় ৩০টি কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য মিশছে নগরীর উপকণ্ঠ পবা উপজেলার খাল-বিলে। খাল উপচে বিষাক্ত এ পানি কৃষি জমিতে ঢুকে পড়ায় ব্যাহত হচ্ছে চাষাবাদ। কৃষকের পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন নগরবাসী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুষণরোধে ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশাপাশি বর্জ্য কমাতে বাড়াতে হবে সচেতনতা। আর মেয়র জানালেন, সমস্যা সমাধানে করপোরেশনের ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রতিদিন শহরে ব্যবহৃত ৭ কোটি ১০ লাখ লিটার পানি বিভিন্ন স্থানে ড্রেনের সাথে পয়ঃনিস্কাশন সংযোগ, আবর্জনা ও পচাগলা বস্তুর সাথে কারখানার ক্ষতিকর বর্জ্য মিশছে ড্রেনের পানিতে। শহরের কালো বিষাক্ত এই পানি ৮টি ড্রেন দিয়ে মিশছে পবা উপজেলার নদীনালা ও খাল-বিলে। এ পানি কৃষি জমির পাশাপাশি সবজির ক্ষেতসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের ফলে সাধারণ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা রোগে। আবার পচা পানিতে মশা মাছির উপদ্রব থাকছে বছর জুড়েই। সে সাথে প্রতিদিন করপোরেশন ৩শ’ থেকে ৪শ’ টন বর্জ্য ফেলায় দুষিত হচ্ছে গ্রামের পরিবেশও।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, দূষণ রোধে ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশাপাশি বর্জ্য কমাতে শহরের মানুষের সচেতনতায় কাজ করতে হবে করপোরেশনকে।
অবশ্য রাজশাহী সিটি করপোরেশন দায়িত্ব প্রাপ্ত মেয়র মো: নিযাম উল আযীম বলছেন, সমস্যা সমাধানে কর্পোরেশনের ইচ্ছা থাকলেও অর্থের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
পবা উপজেলার ৯টি গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে চলা ৩টি খাল-বিল দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে শহরের দুষিত পানি। কৃষি ও গৃহস্থালিসহ নানা কাজে এ পানি ব্যবহার করছে গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ।
কৃপ্র/ ফিরোজ / কে আহমেদ/ এম ইসলাম