কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ও দশমিনা ইউনিয়নে নদীর ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে। তেঁতুলিয়া নদীর করাল গ্রাসে দু’টি লঞ্চঘাট নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার কয়েকটি গ্রামের অনেক আবাদি-অনাবাদি জমি, বসতঘর, ভরা ফসলের মাঠসহ বিস্তীর্ণ এলাকা নদীর ভাঙনের কবলে রয়েছে।
উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া ও সদর ইউনিয়নের হাজিরহাট লঞ্চঘাট তেঁতুলিয়া নদীর গর্ভে বিলীন হতে চলছে। প্রতিদিন এলাকার আবাদি-অনাবাদি ও বসতঘর নদীর ভাঙনে হারিয়ে যাচ্ছে। বাঁশের অস্থায়ী পাইলিং দিয়েও লঞ্চঘাট দুটিকে নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। নদীর অব্যাহত ভাঙনে উপজেলার নদী তীর রক্ষা বেড়িবাঁধের ১২ কিলোমিটারের মধ্যে ৮ কিলোমিটার নদীগর্ভে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। অবশিষ্ট বেড়িবাঁধ এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
উপজেলার প্রধান ২টি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর পানি বৃদ্ধি এবং প্রবল চাপের কারণে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র আঘাতের পর থেকেই উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের পূর্ব বাঁশবাড়িয়া, ঢনঢনিয়া, সদর ইউনিয়নের হাজিরহাট, গোলখালী, আরজবেগীর বিভিন্ন এলাকায় নদীর ভাঙনের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করেছে।
কৃপ্র/ এম ইসলাম