কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার রায়ঘাটি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবাহিত উন্মুক্ত জলাশয় ‘ভেন্নার বিলে’ নামতে পারছেন না প্রকৃত মৎস্যজীবীরা। স্থানীয় প্রায় ১ হাজার জেলে ওই বিলের মাছের অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। খবর জনকণ্ঠ অনলাইনের।
উন্মুক্ত এ জলাশয় অমৎস্যজীবীদের লিজ দেয়ায় তাদের হুমকিতে মাছ ধরতে পারছেন না প্রকৃত মৎস্যজীবীরা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিলপাড়ের এলাকাবাসী এখন সে বিলে গোসল ছাড়া অন্যকোন কাজে নামতে পারছে না।
জানা গেছে, রায়ঘাটি ইউনিয়নের ভেন্নার বিল সংলগ্ন এলাকায় যারা বসবাস করেন তারা বংশ পরম্পরায় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন এই বিলে। গত বছরেও তারা মাছ ধরেছেন। তবে এবার স্থানীয় এক যুবলীগের নেতাকে লিজ দেয়া হয়েছে ওই বিল।
আলম নামের ওই লিজধারী এলাকায় বসিয়েছে পাহারা। নিজস্ব লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে মাছ চাষ করছেন সেখানে। ফলে প্রকৃত জেলেরা তাদের নৌকা এবং জাল-দড়ি উঠিয়ে রেখেছেন। সুবিধাবঞ্চিত জেলেদের অভিযোগ, মৎস্যজীবী ও জেলে সমিতির নামে একটি চক্র বিলটি ইজারা নিয়েছে।
যাদের কেউ মাছ চাষের সঙ্গে জড়িত না। বিলটি প্রকৃত মাছচাষীদের লিজ দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেও কোন লাভ হয়নি। লিজ দেয়া হয়েছে অমৎস্যজীবীদের নামে যুবলীগ নেতাকে।
এ বিষয়ে রায়ঘাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের দফতর থেকে বিলটি লিজ দেয়া হয়েছে। গত তিন বছর বিলের ইজারা দেয়া হয়নি। সাধারণ জেলেরা বিলে মাছ ধরেছে। তবে এবার মৎস্যজীবী ও জেলে সমিতির নামে একটি চক্র ইজারা নিয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, বিলটি ইজারা না দেয়ার জন্য তিনি জেলা প্রশাসককে কয়েকবার অনুরোধ করেছেন, তাতে কোন লাভ হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী ও জেলে সমিতির সাবেক বিভাগীয় সম্পাদক আনারুল ইসলাম বলেন, জেলার অধিকাংশ বিল এবং জলমহাল প্রভাবশালীরা নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে। প্রকৃত মৎস্যজীবী এবং জেলেরা জলমহাল থেকে অনেকটাই বিতাড়িত।
মোহনপুরের ভেন্নার বিলেও একই ঘটনা ঘটেছে। তাই প্রকৃত মৎস্যজীবীরা তাদের নৌকা ও জাল-দড়ি ঘরে তুলে রেখেছেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হলেও তারা প্রভাবশালীদের ভয়ে কিছু করতে পারছেন না।
কৃপ্র/ এম ইসলাম