কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্ক : শস্য ক্ষেতে গেড়ে দেয়া হয়েছে ধনচের ডাল, গাছের ডাল । তাতে বসছে পাখি খেয়ে ফেলছে পোকা। উত্তরের জনপদ নাটোরে জেলার বিভিন্ন এলাকার শস্য ক্ষেতগুলোতে এ বছর ব্যবহার করা হয়েছে এই পদ্ধতি।
কৃষি বিভাগ যাকে বলছে পার্সিং। এই পদ্ধতি ব্যবহারে কমেছে কীটনাশকের প্রয়োগ। যা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বিস্তীর্ণ ধানের খেত। এরই মাঝে সারিবদ্ধভাবে লাগানো হয়েছে ধইনচা গাছ, আবার কোথাও পুতে রাখা হয়েছে লাঠি বা কঞ্চি।
এমন দৃশ্য এখন নাটোরের মাঠে মাঠে। কীটনাশক মুক্ত ধান উৎপাদন ও চাষে এ এলাকায় এরই মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠতে শুরু করেছে পার্চিং পদ্ধতি। দুই ধরণের মধ্যে জীবন্ত পার্চিং পদ্ধতিই বেশি কার্যকর। পার্চিং পদ্ধতিতে একদিকে যেমন কীটনাশক মুক্ত ফসলের পাশাপাশি কমবে উৎপাদন খরচ, তেমনি ধইনচা গাছের পাতা জমিতে পরে পূরণ করবে জৈবসারের অভাব।
কৃষিবিভাগ বলছে, এ পদ্ধতি নিয়মিত করা গেলে পর্যায়ক্রমে কমে আসবে রাসায়নিক সারের ব্যবহার। নাটোরে এবার রোপা আমন চাষ হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার হেক্টর জমিতে। যার ৯০ ভাগ জমিতে ব্যবহার করা হয়েছে পার্চিং পদ্ধতি। যা থেকে কৃষকের ধান উৎপাদনে খরচ কমবে প্রায় ৪০ কোটি টাকা, দাবি স্থানিয় কৃষি বিভাগের।
কৃপ্র/ কে আহমেদ/ এম ইসলাম