কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বারো মাসই ফল ধরবে এমন একটি বিশেষ জাতের আমের সফল চাষ হয়েছে মাগুরায়। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের বাগানে প্রথম বারের ফলন হয়েছে এই নতুন জাতের আমের। ভিয়েতনাম থেকে এই জাতের আমের চারা এসেছে কৃষি বিভাগ।
পরীক্ষামূলভাবে মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের বাগানে দু’বছর আগে এই চারা লাগানো হয়। মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের উদ্যানতত্ত্ববিদরা জানান, ভিয়েতনামে এই জাতের আমের নাম চুঁ। ৩ বছর আগে ভিয়েতনামে প্রশিক্ষণে গিয়ে সেখানকার জার্ম প্লাজম কালেকশন সেন্টার থেকে মাগুরা হর্টিকালচারের কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম এই আমের ৩টি চারা নিয়ে আসেন।
ওই বছরই এগুলো লাগিয়েছিলেন মাগুরা হর্টিকালচার সেন্টারের মাঠে। গতবছর চৈত্র-বৈশাখ প্রান্তিকে প্রথম ফলন আসে এই গাছে। পরবর্তীতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ৩ বার মুকুল ও ফলন এসেছে সেখানে। গাছগুলোর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কিছু ডালে আম পরিপক্ব হতে না হতেই আরেকটি ডালে মুকুল এসে যায়। এভাবে ৪ মাস অন্তর এটিতে ফলন আসে। এ কারণে এটিকে বারোমাসি আম বলা হয়।
পরিপক্ব আমগুলোর প্রতিটির ওজন ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম। আমগুলো খেতে অনেক সুমিষ্ট। পাকলে গাঢ় হলুদ রঙ্গের হয়। গাছের উচ্চতা ৭ থেকে ৮ ফিট। এই জাতের আম সাধারণ জাতের তুলনায় প্রাকৃতিকভাবে দ্বিগুণ সংরক্ষণ ক্ষমতার অধিকারী। সাধারণ জাতের একটি পাকা আম গাছ থেকে তোলার পর বাড়িতে এক সপ্তাহ সংরক্ষণ করা যায়। এই জাতের আম সেক্ষেত্রে ১৫ দিন সংরক্ষিত থাকে।
সুত্রঃ জনকণ্ঠ অনলাইন/ কৃ প্র /এম ইসলাম