কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎ প্লান্টের ব্যাপারে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো)-কে তাদের প্রতিবেদনের জবাব দেয়া হবে। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের স্বার্থে ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করেই সরকার রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে । আজ সকালে বিদ্যুৎ ভবনের বিজয় হলে দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে গবেষণায় এবং উদ্ভাবনে তরুণ প্রকৌশলীদের সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ এনার্জি এন্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিল (ইপিআরসি)এবং ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (এসাব) মধ্যে এক সমেঝোতা স্বাক্ষর সাক্ষরিত হয় । প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের গবেষণা ও উদ্ভাবনে সম্পৃক্ত করার জন্যে এই সমেঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হয়েছে।
এসাব এবং ইপিআরসি যৌথ উদ্যোগে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এসব উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে ‘ন্যাশনাল হ্যাকাথন অন পাওয়ার এন্ড এনার্জি’, ‘গ্রীন এনার্জি সামিট’, ‘ইয়ুথ ইনোভেশন স্মল গ্র্যান্ট’- এর মত আয়োজনে মেধাবী তরুণ প্রকৌশলীরা একত্রিত হবে এবং দেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার সুযোগ পাবে।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘পরিবেশের বিষয়ে সরকার বেশ সচেতন রয়েছে। দেশে নতুন কোন বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের আগে পরিবেশের প্রভাবের ব্যাপারে গবেষণা করে দেখা হচ্ছে। বিদ্যুৎ প্লান্ট স্থাপনের আগে আমরা পরিবেশের প্রভাবের বিষয়ে যদি বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিদের কোন পরামর্শ থাকে তবে আমরা তা যথাযথ মূল্যায়ন করবো।’
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আরো বলেন, প্রকৌশলী শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও দেশের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এই তরুণ শিক্ষার্থীরা, বিশেষ করে প্রকৌশলী শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এসব উদ্ভাবন জনকল্যাণে এবং বিভিন্ন জাতীয় উন্নয়ন প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ই.পি.আর.সি. এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ কায়কায়ুস বলেন, তরুণ প্রকৌশলীদের সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধানে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
এসাবের সভাপতি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হাসান বলেন, দেশের সমস্যা সমাধানের জন্য মেধাবীদের আরো বেশি সম্পৃক্ত করতে হবে। অনুষ্ঠানে বি.ই.পি.আর.সি. এর চেয়ারম্যান ড. আহমাদ কায়কায়ুস একটি ছোট স্মারক তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে অন্যান্যের মধ্যে জালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরী ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মনোয়ার ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী বক্তব্য রাখেন এসাবের প্রতিষ্ঠাতা ও এসাব ইনোভেশন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক মোঃ আরিফ রায়হান মাহি।
সুত্রঃ বাসস/ কৃপ্র/ এম ইসলাম