কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার আমবাড়িবাজার এলাকায় সুরমা নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনের কবলে পড়ে কয়েকটি গ্রাম, মসজিদ, কবরস্থান, বাজারের রাইস মিলসহ শতাধিক ঘর-বাড়ি ও গাছপালা বিলীন হয়ে গেছে। এতে গৃহহারা হয়ে পড়েন এলাকার শত শত পরিবার।
অনেক বছর আগে থেকেই আমবাড়িবাজার এলাকায় এই ভাঙন শুরু হয়। ভাঙনের ফলে সংকীর্ণ সুরমা নদী ক্রমান্বয়ে প্রশস্ত হতে থাকে। সুরমার উত্তরপাড় তেমন না ভাঙলেও দক্ষিণপাড় ভেঙ্গে সুরমায় নিয়ে গেছে পুরো জগিরগাঁও গ্রাম ও ধনপুর গ্রামের বিরাট একটি অংশ এবং আমবাড়ি বাজারের শতাধিক দোকানঘর ও গাছপালা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হাওরের ফসল বাঁচাতে দেশ স্বাধীনের পর পান্ডারখালে মাটির বাঁধ দেওয়া হয়। এই বাঁধ দেওয়ায় ফসল রক্ষা হলেও নতুনভাবে এই এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. তাহের মিয়া (৯৩) বলেন, ‘নদীর ভাঙ্গনে বাজারের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এক সময় আমাদের আমবাড়িবাজার ঐতিহ্যবাহী বাজার ছিল। বাজারের অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়ায় অনেক স্থান নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।’
মো. খুর্শিদ আলী (৮০) বলেন, ‘স্বাধীনতার আগে এই নদী ভাঙন ছিল না। পান্ডারখালের বাঁধ দেওয়ার পর থেকে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। এতে ঘর-বাড়ি, গাছপালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, বাজারের দোকান পাটেরও ক্ষতি হয়েছে। নদী ভাঙন প্রতিরোধ জরুরি প্রয়োজন।’
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী দীপক দাস বলেন, ‘আমরা নদী ভাঙন প্রতিরোধের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছি। ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
সুত্রঃ ইত্তেফাক অনলাইন/ কৃপ্র/ এম ইসলাম