কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কারখানার আওতাভুক্ত সমবায়ী খামারিদের দুধের মূল্য ও বোনাস ৮ মাস ধরে বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। ফলে গত ১ বছরে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ জেলার ২ লাখ কৃষকের কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে। এ বিশাল অংকের লোকসান ঠেকাতে তারা ৪ মাস ধরে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কারখানায় দুধ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়ে দিয়েছে। খবর যুগান্তর অনলাইনের।
ফলে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কারখানায় দুগ্ধ সংগ্রহ ভয়াবহ আকারে কমে যায়। এ কারণে গত রমজান মাস ও ঈদুল আজহায় মিল্কভিটা কর্তৃপক্ষ তাদের গ্রাহকদের চাহিদানুযায়ী দুধ সরবরাহ করতে পারেনি। ফলে সমবায়ী এ প্রতিষ্ঠানটিও চরম লোকসানের মুখে পড়েছে। স্থানীয় সমবায়ী কৃষকদের সঙ্গে আলাপ করে তাদের মৌখিক অভিযোগ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি চৌবারিয়া প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান, শাহজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়ি সমিতির সভাপতি আবদুল মান্নান বেপারি, উল্লাপাড়া উপজেলার কয়ড়া সমিতির সভাপতি সেলিম হোসেন ও শাহজাদপুরের-আঙ্গারু পশ্চিম বাঙ্গালপাড়া প্রাথমিক দুগ্ধ সমবায় সমিতির ম্যানেজার আবদুর রউফ জানান, মিল্কভিটা প্রতি লিটার দুধের মূল্য দিচ্ছে ৩৪ টাকা থেকে ৩৬ টাকা। অপর দিকে ঘোষ ও পাইকারি দুধ বিক্রেতারা কৃষকদের এ দুধের মূল্য দিচ্ছে প্রতি লিটার ৫০ থেকে ৫২ টাকা। ফলে তারা এই বিশাল অংকের লোকসান ঠেকাতে মিল্কভিটাতে দুধ সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে ওই দুধ স্থানীয় ঘোষ অথবা পাইকারের কাছে বিক্রি করে কিছুটা লোকসান ঠেকানোর চেষ্টা করছে। তারা আরও বলেন, মিল্কভিটা দুধের সম্পূরক বোনাস ২ টাকার স্থলে ১ টাকা কমিয়ে এখন ১ টাকা করে দিচ্ছে।
এছাড়া দুধের দামও বাজার দরের চেয়ে প্রতি লিটারে ১৫-১৬ টাকা কম দিচ্ছে। এই বিশাল পরিমাণের লোকসান ঠেকাতে কৃষকরা বাধ্য হয়ে মিল্কভিটায় দুধ সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে বাজারের ঘোষ অথবা পাইকারের কাছে সেই দুধ বিক্রি করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঘাবাড়ি মিল্কভিটার আওতায় পাবনা-সিরাজগঞ্জ জেলায় রেজিস্ট্রেশনভুক্ত ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন মোট ১ হাজার ২০০টি প্রাথমিক দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় সমিতি রয়েছে। এসব সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা কমপক্ষে ২ লাখ সমবায়ী কৃষক।
এ ব্যাপারে বাঘাবাড়ি মিল্কভিটা কারখানার সমিতি বিভাগের ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম বলেন, ইদুল আজহার ছুটির সময় প্রান্তিক কৃষকরা ঘোষের কাছে দুধ বিক্রি করায় সাময়িকভাবে মিল্কভিটায় কিছুটা দুধের উৎপাদন কমেছিল। ছুটির পরে এটা ঠিক হয়ে গেছে। এখন প্রতিদিন মিল্কভিটায় ৭০-৭১ হাজার লিটার করে দুধ সংগ্রহ করা হচ্ছে। ফলে মিল্কভিটায় আর কোনো সমস্যা নেই।
কৃপ্র/ এম ইসলাম