কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ রাজশাহী জেলার বরেন্দ্র অঞ্চলে ফসলি জমিতে বসতি স্থাপন, ইটভাঁটি নির্মাণ, পুকুর খনন ও কল-কারখানা গড়ে তোলায় ক্রমেই কমে যাচ্ছে কৃষিজমি। শুধু রাজশাহী অঞ্চলেই গত ৬ বছরে কৃষিজমি কমেছে ৩০ হাজার হেক্টর। কয়েক বছর আগেও যেসব জমিতে চাষাবাদ হতো এখন সেগুলো বসতভিটায় রূপ নিয়েছে।
জানা গেছে, ২০১০ সালে শুধু রাজশাহী জেলায় ৮৩ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হতো। মাত্র ছয় বছরের ব্যবধানে ২০১৬ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৭৩ হাজার ৩৩৫ হেক্টরে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় গত ৬ বছরে চাষাবাদ কমেছে ১০ হাজার হেক্টর জমি।
জেলা কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী অঞ্চলে (রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ) ২০১০ সালে আবাদি জমির পরিমাণ ছিল চার লাখ ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি। ২০১৬ সালে কমে চার লাখ ২০ হাজার হেক্টরে এসে ঠেকেছে।
আবাদি জমিতে ক্রমেই আবাসন, বাগান, শিল্প-কারখানা, রাস্তা-ঘাট স্থাপনের পাশাপাশি যত্রতত্র পুকুর খননের কারণে দিন দিন আবাদি জমির পরিমাণ কমছে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় ভূমি জোনিং প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, অপরিকল্পিত আবাসন, শিল্প-কারখানা, রাস্তাসহ অন্যান্য স্থাপনা নির্মাণের কারণে প্রতিদিন কমে যাচ্ছে প্রায় ২২০ হেক্টর কৃষিজমি।
অপরিকল্পিত ব্যবহার অব্যাহত থাকলে মাথাপিছু আবাদি জমি ২০৫০ সালে ৬ দশমিক ২০ শতাংশে নেমে আসবে। রাজশাহীর তানোর, গোদাগাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, নওগাঁর পোরশা, নিয়ামতপুর উপজেলার জায়গাগুলো অনেক উঁচু। এছাড়াও জমির দাম কম হওয়ায় বিশেষ করে নদী ভাঙ্গন এলাকার মানুষ এখন ওই এলাকায় এসে ফসলের জমি কিনে অপরিকল্পিতভাবে বাড়ি নির্মাণ করছে। এছাড়াও ওই সব এলাকায় কৃষকরা ধানের পাশাপাশি আম বাগানে ঝুঁকেছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালি জানান, প্রতি বছরই বেশকিছু পরিমাণ আবাদি জমিতে ঘর-বাড়ি নির্মাণ, ইটভাঁটি, রাস্তাঘাটসহ নানা কারণে অনাবাদির তালিকায় চলে যাচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য এ সংখ্যা আরও প্রকট হয়েছে।
সুত্রঃ জনকণ্ঠ অনলাইন/ কৃপ্র/ এম ইসলাম