কৃষি প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ মুন্সিগঞ্জ জেলার লৌহজংয়ে পদ্মার ভাঙ্গনে শেষ হচ্ছে খড়িয়া গ্রাম। বাজান বাব দাদার ভিটে মাটির শেষ সম্বলটুকুও হারাইলাম, ছবি তুইল্ল্যা কি অইবো। থাকার জায়গা নাই, টেকা নাই, ঘড় ভাঙ্গুম কি দিয়া, এক দিকে নদীর উৎপাত, ভাঙ্গা কপাল নিয়া আইছি তাই ভাঙ্গনে আমগো ছাড়বো না- আমগো নিয়া লেইখ্যা আর কি অইবো, এতদিনে পদ্মা সব গিল্ল্যা খাইবো। আক্ষেপ করে কথাগুলো বলেছেন বৃদ্ধা সুফিয়া বেগম।
কুমারভোগ ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড খড়িয়া গ্রামের মহিলা মেম্বার ছিলেন এক টানা ৯১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। এ্খন বয়সের ভারে অনেকটা কাবু। প্রায় ৮০ ছুইছুই নিস্ব জীবন তার। এই শেষ প্রান্তে তার জীবনের হাল তাকেই ধরতে হয়েছে। এর আগে ও দুই বার ভাঙ্গনের কবলে পড়েছেন। সহায় সম্বল হীন বৃদ্ধা এখন ব্যাস্ত তার মাথা গোজার ঠাইটৃুকু নিয়ে। বেঁচে থাকার যুদ্ধ তার এখন নদীর সাথে।
সুফিয়ার মত এমন ৩০টি পরিবার গত ৫দিনে বসত ভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। গত কয়েকদিনের অবিরাম বষর্নের ফলে প্রমত্তা পদ্মা রুদ্র মূর্তির আকার ধারন করেছে। নদী ভাঙ্গনে লৌহজংয়ের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে নদীর তীরবর্তী লৌহজংয়ের কুমারভোগ গ্রামের খড়িয়া, নয়াবাড়িসহ ইউনিয়নের ৩ টি গ্রাম। এর মধ্যে পুর্ব খড়িয়া, নয়াবাড়িরসহ নদীর তীড়বর্তী এলাকা। আর ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে এসব এলাকার সহস্রাধিক পরিবার। নিঘুম রাত কাটাচ্ছেন তারা । সবার ভেতরে আতংক বিরাজ করছে কখন গ্রাস করে রাক্ষসী পদ্মা।
সোমবার সরেজমিনে দেখা যায়, পদ্মা পারের খড়িয়া ও নয়াবাড়ি গ্রামের মানুষের দূর্ভোগ। কথা হয় খড়িয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা আবুল কাশেমের সাথে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, পদ্মা সেতু শীঘ্রই হবে শুনে আশায় বুক বেধে ছিলাম যে, মাওয়া থেকে মাএ এক কিলোমিটার দূরে এই কুমারভোগের খড়িয়া গ্রাম এখানে সেতু রক্ষা বাধ নির্মান করা হবে এরই সাথে রক্ষা করা হবে পদ্মার তীড়বর্তী গ্রামগুলো।
সুত্রঃ ভোরের কাগজ/ কৃপ্র/ এম ইসলাম